ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের প্রশ্নপত্র এক প্রার্থীকে ফাঁস করে দেওয়ার কথপোকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালামের কণ্ঠ শোনা যায়। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার রাতে ইবি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচএম আলী হাসান। তিনি দাবি করেছেন, কণ্ঠটা ‘এডিট’ করা।
জিডিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ফারাহ জেবিন নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে উপাচার্যের কণ্ঠসদৃশ কথপোকথন ছড়িয়ে পড়ে। ভবিষ্যতের জন্য বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করার আবেদন জানানো হয়। ওই আইডি থেকে মোট তিনটি সংক্ষিপ্ত কথপোকথন প্রচার হয়েছে।
কথপোকথনে শুধু উপাচার্যের মতো কণ্ঠ শোনা যায় অপর পাশের কারো কথা ছিলোনা। এতে অলি নামে এক চাকরি প্রার্থীর সঙ্গে একটি বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করা নিয়ে আলাপ হয়। এ ছাড়া পরবর্তী পরীক্ষার প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। অডিওতে ওই প্রার্থীকে আগামী নিয়োগ বোর্ডে টাকা দিয়ে আবেদন করানোর জন্য তিনজন প্রার্থীকে জোগাড় করতে বলা হয়।
এ ছাড়া এই প্রার্থীকে পুনরায় আবেদনের সুযোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের শিক্ষক নিয়োগের অভিন্ন নীতিমালা সিন্ডিকেটে নেওয়া হবে না বলেও আলাপ করা হয়।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ.এম আলী.হাসান বলেন, এখানে এক পাক্ষিক কথা শোনা যাচ্ছে। ধারণা করছি কণ্ঠটা এডিট করা। আইডিটা খুঁজে বের করতে ভিসি স্যারের নির্দেশে থানায় জিডি করা হয়েছে। স্যার যশোরে সমাবর্তনে যোগ দিতে গেছেন।
ইবি থানার ওসি আননূর জায়েদ জানান, রেজিস্ট্রার থানায় একটি জিডি করেছেন। জিডিতে বলা হয়েছে একটি ফেক ফেসবুক আইডি থেকে তার কণ্ঠের ন্যায় একটি ভয়েস ইডিট করে পোস্ট করা হয়েছে। এখন আমরা আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমি আমাদের খণ্ডকালীন শিক্ষক অলিউরের সাথে ফোনে কথা বলেছি। তবে আমি তাকে কোনো টাকাপয়সা বা প্রশ্ন নিয়ে কিছু বলিনি। অডিওতে কণ্ঠটি ইডিট করা হয়েছে।