গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শিক্ষাবর্ষ ২০২২-২৩ এ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থাকছে কিনা এনিয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয় নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩তম একাডেমিক সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নিতে একটি বিশেষ একাডেমিক সভার আয়োজন করা হচ্ছে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারিতে। সেখান থেকে গুচ্ছে জবি থাকছে কিনা সেবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক।
এদিকে বিগত বছরে গুচ্ছে থাকায় দশম মেরিট লিস্ট দিয়েও শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারেনি প্রশাসন। অথচ গুচ্ছের আগে পঞ্চম বা ষষ্ঠ মেরিট লিস্টেই ভর্তি সম্মন্ন হত। পাশাপাশি ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে লেগেছে অনেক সময় যা শিক্ষার্থীদের হতাশ করেছে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি কর্তৃক অনলাইন জরিপের আয়োজন করা হয়। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা ভোট প্রদান করে। ৯৮ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে গুচ্ছে থাকার বিপক্ষে। মাত্র ২ শতাংশ ভোট পড়েছিল গুচ্ছ থাকার পক্ষে। এ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কী প্রত্যাশা তা স্পষ্টই বোঝা যায়।
বিগত দুই বারে গুচ্ছে ভোগান্তির শিকার ও আশার আলো দেখতে না পারায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরাও গুচ্ছের প্রতি অনীহা প্রদর্শন করে আসছে। শিক্ষার্থী বান্ধব ভর্তি পরীক্ষার নামে নানা হয়রানির শিকার হয়েছে তারা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বরাবরই গুচ্ছ প্রক্রিয়ার প্রতিকূলে অবস্থান করেছেন। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম লুৎফর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার জবি কে গুচ্ছে না থাকার আহবান করেছি। আশাকরি এইবার আমাদের কথা রাখবে প্রশাসন।