বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শেরে বাংলা হলের খাবারে পোঁকা (শুয়োপোঁকা) পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই সাথে খাবারের দাম বৃদ্ধির ও অভিযোগ পাওয়া যায়। বৃস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
ঐদিন দুপুরে হলের শিক্ষার্থী শান্ত মিয়া শেরে বাংলা হলের ক্যান্টিন থেকে পোমা মাছ আর সবজি অর্ডার দিলে সবজির ভিতরে পোঁকা পায় বলে অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শান্ত মিয়া বলেন, বৃস্পতিবার আমি দুপুরের খাবার খেতে শেরে বাংলা হল(ববি) এর হল ক্যান্টিনে যাই এবং মাছ এবং সবজি অর্ডার করি খাবার সার্ভ করা হল কর্তৃপক্ষ আমাকে খাবার দিলে সেটা খাওয়ার সময় আমি সোয়া পোকা টাইপের এই পোকাটি লক্ষ করি।
সেটা সেখানকার দায়িত্বরত একজনকে বলি,”মামা,খাবারের মধ্যে এইগুলা কি?” উনি আমার কথায় কোনো ভ্রুক্ষেপ না করে আমার কাছ থেকে খাবারের বাটি নিয়ে নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন।আমি তখন সেখান থেকে প্রস্থান করি।
ঐ শিক্ষার্থী আরও বলেনগত এক বছর ধরে হলে খাই এর আগেও আমার খাবারে পোকা এবং মেটাল পেয়েছি।এছাড়া সবজি হিসেবে অত্যন্ত নিম্নমানের সবজি পরিবেশন করা হয়।
শেরে বাংলা হলের সাব্বির আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, হলের নিম্নমানের খাবারে ও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই মূল্যবৃদ্ধি ৷ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশনসহ নিয়মিত খাবারের ভেতর মেটাল ও পোঁকা পাওয়া গেলে আমারা খাব কি? আমাদের এই সমস্যাগুলো দেখবে কে?সপ্তাহখানেক আগে বঙ্গবন্ধু হলে মেটাল ও সিগিরেটের ফিল্টার পাওয়া গেছে এর সুষ্ঠু কোন সমাধান হচ্ছে না!
বিষয়টি নিয়ে ক্যান্টিন পরিচালক বেলাল হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা তার সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি৷
সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ খাবার নিয়ে এসব সমস্য নতুন নয় ৷ অনেকেই বাধ্য হয়ে এসব পঁচা বেশি খাবার খেয়ে জীবনধারণ করছে ৷ হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে কোন কার্যকারী পদক্ষেপ নিচ্ছে না ৷
এ বিষয়ে শেরে বাংলা হলের প্রোভোস্ট আবু জাফর মিয়া বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই ৷ আমি এ বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি ৷ প্লেট সল্পতার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন প্লেট কেনার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ৷
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি ও ৩রা ফেব্রুয়ারী বঙ্গবন্ধু হলের খাবারে মেটাল ও সিগারেটের ফিল্টার পাওয়া যায়। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার খাবারে পলিথিন পাওয়া যায় ৷