ভয়াবহ মাদকের আগ্রাসনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। জেলা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চলে সক্রিয় উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে যুবসমাজ। শহর থেকে শুরু করে গ্রাম গঞ্জের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ংকর নেশাদ্রব্য গাঁজা, ফেনসিডিল, স্কাফ, ইয়াবা, আইস নামক এইসব নেশাদ্রব্য। এই জেলা ভারত সীমান্ত সংলগ্ন হওয়ায় এসব মাদকদ্রব্য দ্রুত পৌঁছে যায় মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে। অপতিরোধ্য এইসব মাদক ব্যবসায়ীরা দিনে রাতে প্রকাশ্যে অবাধে বিক্রি করছে এসব মাদকদ্রব্য। বাধাহীনভাবে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের রমরমা মাদক ব্যবসা। এ যেন দেখার কেউ নেই। ব্যাপক তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিজেশ্বর গ্রামের পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে আসাদুল্লাহ (২৬), জাকির মিয়ার ছেলে ছানাউল্লাহ (২৭), ওবেদ মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া, মৃত জিল্লু মিয়ার ছেলে আহাদ মিয়া, নোয়াবাড়ির ইয়াছিন মিয়া (৩৫), মৃত কাছেম আলীর ছেলে কামাল মিয়া, মোহাম্মদপুর গ্রামের খেয়াপাড়া এলাকার সাকিব মিয়া (১৮)। সেন্দ গ্রামের দুর্র্ধষ মাদক ব্যবসায়ী আরমান ও তার স্ত্রী সুরজাহান একই গ্রামের উত্তর পাড়ার আলী মিয়ার ছেলে উবায়দুল্লাহ, ওরফে (উবা), ইরণ মিয়ার ছেলে বজুরহমান, জিয়ার স্ত্রী ছখিনা। এছাড়াও উলচাপাড়া গ্রামের, মৃত জাহের মিয়ার ছেলে আল-আমিন, মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে আল-আমিন, মতি মিয়ার ছেলে সাকিল, সফিকুল ইসলামের ছেলে রিফাত, পৌর এলাকার চন্ডারখিল গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে মিন্টু মিয়া, ইউনুছ মিয়ার ছেলে সাত্তার মিয়া, রাজ্জাক মিয়ার ছেলে মোঃ সিব্বির, মালেক মিয়ার ছেলে আবু সালেক, খুরশিদ মিয়ার ছেলে জয়, জয়নাল মিয়ার ছেলে নাজমুল, মৃত জানু মিয়ার ছেলে বিল্লাল মিয়া, বিল্লাল মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া, মৃত তারা মিয়ার ছেলে নাছির, মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে জসিম। এদের মধ্য সেন্দ গ্রামের ছকিনা গত একসপ্তাহ আগে কারাগার থেকে বেড়িয়েই আবারও মাদক ব্যবসায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার রামরাইল ইউনিয়নের বিট পুলিশ কর্মকর্তা (সাব ইন্সপেক্টর) জুয়েল জানায়, শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ছকিনা গ্রেফতারী পারোয়ানার আসামি ছিলো, ওকে আমি গ্রেপ্তার করেছিলাম। অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদের কে আটক করি, কারাগার থেকে বেড়িয়েই আবার এই ব্যবসা শুরু করে দেয়। এদেরকে অধিকাংশ সময়তেই আমি গিয়ে পাইনা। কিছু অসৎ লোক তাদেরকে সতর্ক করে দেয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন জানায়, পুলিশ প্রশাসনের গ্রেপ্তার কার্যক্রম চালু আছে। ভবিষ্যতেও গ্রেপ্তার কার্যক্রম চলমান থাকবে।