নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে অব্যাহতির দাবিতে এবার গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘটে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে ৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী একমত পোষণ করে সই করেছেন।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ৮ দফা দাবির পক্ষে সাড়ে পাঁচশো কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে প্রায় ৫০০ জন সই করেছেন। এটি আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেবো। তারপরও দাবি আদায় না হলে পরবর্তী কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন পলাশ দৈনিক নবচেতনাকে বলেন, মঙ্গলবার কর্মসূচির পর উপাচার্য আমাদের ডেকে বৈঠক করেন। তিনি আমাদের দাবিগুলো শুনে সিদ্ধান্ত জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু তা এখনো জানানো না হওয়ায় বুধবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত ছিল।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপাচার্যের সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশনের মঙ্গলবারের বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। সেখানে রেজিস্ট্রারকে অপসারণ করার মতো কি কি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তা জানাতে বলা হয়েছে। বাকি দাবিগুলো চলমান প্রক্রিয়ায় আইনিভাবে উপস্থাপন ও বাস্তবায়ন করা হবে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ‘নিয়োগ বাণিজ্য’ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কতিপয় ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থে প্রশাসনকে চাপে রাখতে কর্মচারীদের উসকানি দিয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা করছেন।
আন্দোলনরত সহকারী রেজিস্টার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, কার কি সুবিধা-অসুবিধা তা আমার জানার দরকার নাই। আমার দাবি আমাকে সহকারী রেজিস্ট্রারের পদে সপ্তম থেকে ষষ্ঠ গ্রেডে উন্নীত করতে হবে।
বক্তব্য জানতে উপাচার্য অধ্যাপক মো. দিদার উল আলমকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো জবাব দেননি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নেওয়াজ মো. বাহাদুর দৈনিক নবচেতনাকে বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আটটি দাবির মধ্যে অনেকগুলো সমাধানযোগ্য। তবে আলোচনা না করে আন্দোলন করলে তা কারো জন্য সুফল বয়ে আনবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি না করে আলোচনার মাধ্যমে সবকিছুর সমাধান সম্ভব।