জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.মিল্টন বিশ্বাসকে চিঠি পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
মিল্টন বিশ্বাস জানান তাকে কে বা কারা অজ্ঞাত নামে ৪ পৃষ্ঠার চিঠি দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে। চিঠিটি রবিবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে বাংলা বিভাগের ডাকবাক্স থেকে পাওয়া যায়। চিঠির সম্মুখ পৃষ্ঠাতে মিল্টন বিশ্বাসকে ভারতরত্ন, গান্ধী পুরস্কার, অশোক চক্র ইত্যাদি খেতাব নামে ডাকা হয়েছে।
চিঠির শুরুতে মিল্টন বিশ্বাসকে বিষকন্যা শেখ হাসিনার নয়নেরমণি বাবু শ্রী যুক্ত ড. মিল্টন বিশ্বাসকে বীরশ্রেষ্ঠ শিক্ষক বলে সম্বোধন করে বেনামি লেখক।
চিঠিতে শেখ হাসিনাকে বিষকন্যা বিধবা বলে উল্লেখ করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমান কে চাড়াল বলে সম্বোধন করা হয়।
চিঠি নিয়ে মিল্টন বিশ্বাস বলেন, এর আগেও নানা নম্বর থেকে আমাকে কল দিয়ে ও চিঠির মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। যেসব নামে এই ৪ পৃষ্ঠা লিখা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো সংরক্ষণ করে রেখেছি।
উক্ত চিঠিটি খোলার পরই দেখা যায় বিষয়বস্তু হিসাবে একটা শিরোনাম। ওই শিরোনামে লিখা হয়েছে, বিশ্বাসঘাতক মীরজাফর, জগৎশেঠ গং পূনর্জন্ম প্রেতাত্মা ড. মিল্টন বিশ্বাসের বিশ্বাসঘাতকতা মুসলমানের উপর গেবর লাগিয়ে হিন্দুস্থানের অংগরাজ্য বানানোর ষড়যন্ত্র।
কে বা কারা এইসব হুমকি দিয়েছে সেই উত্তরে মিল্টন বিশ্বাস জানান, এটা হয়তো তাদের ই কাজ যারা শেখ হাসিনা ও ইতিবাচক বাংলাদেশের বিপক্ষে, যারা মুক্তবুদ্ধিচর্চাকারী তাদের কলম থামিয়ে দেওয়ার জন্যই হয়তো তারা এটা করেছে।
ক্যাম্পাসে কাউকে সন্দেহ হয় কিনা এ উত্তরে তিনি জানান ক্যাম্পাসের কাউকে সন্দেহ হচ্ছে না এটা হয়তো আইএস জঙ্গির সাথে যারা জড়িত তাদের ই কাজ হতে পারে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করে লিখা হয় ড. বিশ্বাসঘাতক মিল্টন অবিশ্বাস প্রতিদিন সকাল সংবাদপত্রের এডিটর এন্ড কলাম লিখে মুজিবর/স্ত্রী, পুত্র/ কন্যাকে মাসের পর মাস বছরের পর বছর কীর্ত্তনভজন করে যাচ্ছে।
এর আগেও দুইবার এমন বেনামি চিঠি পেয়েছিলেন তিনি তখন এত গুরুত্ব না দেওয়া হলেও এবার থানায় জিডি করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমাদেরকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে, থানায় জিডি করতে পরামর্শ দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব ধরনের প্রশাসনিক সহায়তা করা হবে বলে জানান তিনি।