বৃহস্পতিবার(২৬ জানুয়ারী,২০২৩), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট (আই.এম.এল.)-এর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নির্মিত ভাষা,সাহিত্য এবং সংস্কৃতি বিষয়ক দেয়ালিকা ‘সৃজন’ এর ৪র্থ ধারার উদ্বোধন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.ইমদাদুল হক এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। এসময় আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট এর সাবেক পরিচালক ও সৃজনের স্বপ্নদ্রষ্টা অধ্যাপক ড. প্রতিভা রানী কর্মকার সহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট (জবি)
প্রতি বছর সরস্বতী পূজা ও পহেলা বৈশাখে ‘সৃজন’ প্রকাশ করে আসছে। ‘সৃজন’ আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের একটি ভিন্নধর্মী ও সৃজনশীল দেয়ালিকা, যেখানে বর্তমানে শুধু মাত্র উক্ত ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের স্বরচিত ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক লেখা এবং হস্তশিল্প তুলে ধরা হয়। এটির মাধ্যমে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল প্রতিভা এবং বাংলাদেশের শিল্প,সাহিত্য ও ঐতিহ্য বিকশিত হচ্ছে, অন্যদিকে সৃজনে অংশগ্রহণ করতে পেরে শিক্ষার্থীরা আনন্দ উপভোগও করছেন।
উল্লেখ্য, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক এবং বর্তমানে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. প্রতিভা রানী কর্মকারের হাত ধরে ২০১৯ সালের সরস্বতী পূজায় প্রথম ‘সৃজন’ -এর যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালের সরস্বতী পূজায় ২য় বারের মতো ‘সৃজন’ প্রকাশিত হয়। ২০২১ সালে করোনার কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সৃজন প্রকাশিত হতে পারেনি। কিন্তু গতবছর বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ কে কেন্দ্র করে সৃজনের ৩য় ধারা প্রকাশিত হয়েছিল। ‘সৃজনের’ ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবারের সরস্বতী পূজায় নবরূপে প্রকাশিত হয়েছে ‘সৃজন’ এর ৪র্থ ধারা।
এবারের সৃজনে নকশা ভাবনায় ছিলেন আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সানজানা নাওয়ার এবং মনিরা প্রমি।
পরবর্তী বছরগুলোতে আরো বড় পরিসরে ‘সৃজন’ প্রকাশ করার আশা ব্যক্ত করে সৃজনের স্বপ্নদ্রষ্টা আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক এবং অধ্যাপক ড. প্রতিভা রানী কর্মকার বলেন,” সৃজন আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের একটি ঐতিহ্য। আমার স্বপ্ন আমার কচিকাঁচা শিক্ষার্থীরা সৃজনের মাধ্যমে তাদের মেধাকে বিকশিত করুক।বাংলার সাহিত্য,সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য রক্ষার্থে সৃজন কাজ করে যাচ্ছে।ভবিষ্যতে আরও ব্যাপক পরিসরে সৃজন প্রকাশ করার স্বপ্ন রয়েছে।”