জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে ১৭তম ব্যাচের আগমন ঘটেছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াত করেন অনেক শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন রুটে প্রায় ২৬টি বাস চলাচল করে। মিরপুর ১৪ টু জবি রুটে চলাচলকারী বাস উত্তরণ।
সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে মিরপুর ১৪ থেকে ছেড়ে মিরপুর ১০, ২, ১, কল্যাণপুর, শ্যামলী হয়ে ৭.৪৫ এর আগেই জবি ক্যাম্পাসে পৌঁছায়। যেখানে আগে বাস ক্যাম্পাসে পৌঁছাই তো ৮.০০ পরে, এখন তা পৌঁছে যায় ৭:৪৫ এর ও আগে!!
নতুন ব্যাচের আগমন উপলক্ষে উত্তরণ বাসের সভাপতি আসিফ নিলয় শিক্ষার্থী বান্ধব উদ্যোগ নেন যা বাস কালচারে প্রথম বলা যায়৷ জুনিয়র ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বাসে বসার সুযোগ খুব কমই পায় বিশেষ করে মেয়েরা । কিন্তু এই বাসে নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে সকলে যেন বসার সুযোগ পায়। দীর্ঘ পথ যেন একাধারে দাঁড়িয়ে যেতে না হয় সে দিকে সকলের উদ্দেশ্যে নিলয় বলেন, অর্ধেক পথ যাওয়ার পর যারা বসে ছিল তারা দাঁডিয়ে অন্যদেরকে বসার সুযোগ করে দিবে ।
এখন পর্যন্ত অন্য কোনো বাসে এমন রীতি চালু করতে দেখা যায় নি। তবে উত্তরণ পরিবার আশাবাদী অন্যসব বাসে যেন এই রীতি অনুসরণ করা হয়।
প্রায় সময়ই বিভিন্ন বাসে র্যাগিং এর অভিযোগ পাওয়া যায়। এবিষয়ে উত্তরণ পরিবার সদা সচেতন। তারই ধারাবাহিকতায় তারা বাসে অভিযোগ বাক্স স্থাপন করেছেন যেখানে পরিচয় গোপন রেখে যেকেউ সমস্যার কথা জানালে তা দ্রুত সমাধান করা হয় বলে জানা যায়।
আসিফ নিলয় উত্তরণ বাসের সভাপতির দায়িত্বে আসার পর থেকে উত্তরণ বাসের পূর্বের বদনাম ঘুচিয়ে রীতিমতো প্রশংসা কুড়িয়েছেন। জবি ১৩তম ব্যাচের এই নিলয় জবি ফার্মেসী বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১৭তম ব্যাচের বোটানি বিভাগের জিম আক্তার চৈতি উত্তরণ বাসের অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, ইউনিভার্সিটি লাইফের দ্বিতীয় দিন। ফিরছিলাম উত্তরণ বাসে। সারাদিন পরিচয় পর্ব শিখতে শিখতে বেস ক্লান্ত ছিলাম। বাসে উঠার পর ভীত ছিলাম, বড় ভাইয়া আপুদের ভয়ে যে কখন কিনা কি বলে বসি। বকা খাব কিনা। কিন্তু আপুদের ব্যবহার ছিল অমায়িক। বুঝলাম পরিচিতি হতে এবং সম্মান দিতে ক্ষতি নেই। বরং এটি একটি সুন্দর মিলবন্ধনের শুরু। ভয়ের কিছু নেই। আর সবশেষে ভাইয়ারা গান ধরলেন, সারাদিনে সকল ক্লান্তি দূর হয়ে গিয়েছিল। এটি ছিল মনোমুগ্ধকর এক আনন্দ অনুভূতি