ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা আর নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) উদযাপিত হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা। সকাল থেকে শুরু হয়ে সারাদিন ব্যাপী চলে এই আয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের করিডোরে পূজা উদযাপন পরিষদ ১৪২৯ এই আয়োজন করেন। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম পূজা পরিদর্শন করেন।
এদিন সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে শুরু হয় পূজা। পূজার প্রথম পর্বে প্রতিমা স্থাপন, দেবী অর্চনা ও পুষ্পাঞ্জলী প্রদান, ধর্মালোচনা, প্রসাদ বিতরণ এবং দ্বিতীয় পর্বে বিকাল ৪টার দিকে টিএসসিসির অডিটোরিয়ামে শতাধিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শুভ্র সরকার রুদ্র ও পয়েত্রী বিশ্বাসের সঞ্চলনায় এবং বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তপন কুমার রায়ের সভাপতিত্বে ধর্মালোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রথীন্দ্রনাথ রায়।
এছাড়াও ধর্মালোচনা করেন বাংলাদেশ গৌরাঙ্গ সংঘের সভাপতি শ্রী বিকাশ চন্দ্র বসু এবং হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ এবং অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতি অধ্যাপক ড. তপণ কুমার রায় সবাইকে সরস্বতী পূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতার পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকদিন ধরে একটি স্থায়ী মন্দিরের দাবী উত্থাপিত হয়ে আসছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত একটি স্থায়ী মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি।
অথচ নতুন নতুন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী মন্দির স্থাপিত হয়েছে। তারপরও আমরা আশা করি এই প্রশাসন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে একটি স্থায়ী মন্দির আমাদের জন্য করে দিবেন।