রবিবার হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্দির স্থাপনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা।
দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের প্রাঙ্গণে গিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান এবং সন্ধ্যার পর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসে একত্রিত হয় এবং শিক্ষার্থীরা সেখানে স্লোগানে স্লোগানে মন্দিরের দাবি তুলে।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় মন্দির স্থাপনের দাবি করে আসছি। কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া না হলে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে।আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরস্বতী পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ফিজিবিলিটি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন,আমাকে মন্দির নির্মাণের জন্য কমিটিতে আহ্বায়ক করে ফিজিসিবিলিটি স্টাডি করতে বলা হয় যে আগের কমিটি কেন মন্দির করতে পারে নি। আমি চেষ্টা করব আগামী ৬ মার্চের মধ্যে মন্দির বিষয়ক একটি প্রতিবেদন দাখিল করবো। সেই প্রতিবেদনে অবশ্যই উল্লেখ করবো যে এই জায়গায় একটি মন্দির করা যেতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.মামুনুর রশিদ বলেন,তোমরা একটি যৌক্তিক দাবি উপস্থাপন করেছ, আমরাও তা যৌক্তিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করছি। আমাদের সিনিয়র শিক্ষক ভবেন্দ্রকুমার বিশ্বাসকে আহ্বায়ক করে একটি সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি আমাদেরকে আগামী ৬ মার্চের মধ্যে কোথায় মন্দির নির্মাণ করা যায় উল্লেখ করে রিপোর্ট পেশ করবেন।
সেই রিপোর্টকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের যতগুলি যথাযথ প্রক্রিয়া আছে সে প্রক্রিয়াগুলি সম্পন্ন করে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে আমরা একটি কেন্দ্রীয় মন্দিরের জায়গা নির্ধারণ করবো বলে আশাবাদী।
পরবর্তীতে ছাত্র পরামর্শ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড.ইমরান পারভেজ বলেন,তোমাদের দাবির প্রেক্ষিতে ৩০ জুনের মধ্যে মন্দিরের জায়গা নির্ধারণের বিষয়টি যেন বাস্তবায়ন করা হয় তার জন্য আমি এবং প্রক্টর মহোদয় দায়িত্ব নিচ্ছি।
পরবর্তীতে প্রশাসনের দেয়া আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি ত্যাগ করে ফিরে যায়।
উল্লেখ্য যে, হাবিপ্রবিতে মন্দির নির্মাণের বিল ২০১৩ সালে রিজেন্ট বোর্ডে পাশ হয় কিন্তু বারবার শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলেও তা বাস্তবায়নে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয় নি বলে জানা যায়।