বাংলাদেশ সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি (BSM) এর ৩৬ তম বার্ষিক সম্মেলনের পোস্টার প্রেজেন্টেশনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ। কনফারেন্সটি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ এবং ২০ জানুয়ারি দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়।
মোট ৪ টি ক্যাটাগরিতে পোস্টার প্রেজেন্টেশনের মধ্যে ছিলো ফুড, এগ্রিকালচার, এনভায়রনমেন্ট এবং মাইক্রোবায়োলজি। এর মধ্যে মাইক্রোবায়োলজি ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাব্বির আহমেদ। এই ক্যাটাগরিতে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫৩ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। সাব্বির আহমেদ বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু হেনা মোস্তফা জামালের তত্ত্বাবধানে থিসিস সম্পন্ন করছেন।
বাংলাদেশ সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি (BSM) এর ৩৬ তম বার্ষিক সম্মেলনে বিএসএম এর সহ-সভাপতি ড.মোঃ মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ড. মোঃ কামরুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত বিএসএম এর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এসএম আবু সায়েম।
কনফারেন্সের প্রথম দিনে বক্তব্য রাখেন দেশবরেণ্য বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী কাদরী এবং অধ্যাপক ড.মোঃ মোজাম্মেল হক। দ্বিতীয় দিনে টেকনিক্যাল সেশন এবং পোস্টার প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়। টেকনিক্যাল সেশন- ১এ প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোঃ মিজানুর রহমান, টেকনিক্যাল সেশন-১বি এর কো চেয়ার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং বায়োলজিক্যাল সাইন্স অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম।
এবিষয়ে সাব্বির আহমেদ বলেন, এটি এক অন্যরকম অনুভূতি। মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি অসংখ্য কৃতজ্ঞতা। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগেট নাম সকলের সামনে উচ্চারিত হয়েছে এটার থেকে বড় অনুভূতি আর হতে পারে না। সবাই মিলে এগিয়ে আসলে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ, এগিয়ে যাবে আমাদের বিজ্ঞান গবেষণা।