হরেক রকম পিঠার সমাহার নিয়ে পিঠা উৎসবে মেতে উঠেছেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) শিক্ষার্থীরা। উৎসবে থাকছে বাহারি রকমের পিঠার স্টল, নাচ-গান-আনন্দ-উল্লাস ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের আসর। এদিকে পিঠা-পুলি উৎসবে পিঠা খেতে ভিড় জমিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাসে এসব স্টল পরিদর্শন করেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টাট শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য গণেশ চন্দ্র সাহা, রেজিস্টার অধ্যাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত রেজিস্টার অধ্যাপক ড. শাহ আলম চৌধুরী
ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান এস জুবাইর আল আহমাদ, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক মিলি রহমানসহ অনেকে৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের আয়োজনে এ উৎসবটির সহযোগিতায় ছিলো বিভাগের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিন দেখা যায়, দুপুর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্মানেন্ট ক্যাম্পাস পিঠা প্রেমী শিক্ষার্থীদের ভিড়ে জমে ওঠে৷ এ বছর উৎসবে বিভিন্ন রকম পিঠার সমাহার নিয়ে বসেছে ৮টি স্টল। স্টলগুলোর মধ্যে রয়েছে উদর পূর্তি, ১২ আইটেম, সাহিত্যেক ভোজন বিলাস, ২০ আইটেম, কলাপাতা, ষোল আনাই বাঙ্গালিয়ানা, ক্ষণিকা, স্বাদে বাঙ্গালিয়ানা, স্বাদে বাঙ্গালি মামার বাড়ি রসের হাড়ি রসসহ অন্যান্য।
বাহারি নামের পিঠাগুলো খেতে শিক্ষার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পিঠাগুলোর মধ্যে রয়েছে- দুধপুলি পিঠা, চন্দ্র পুলি, সুজির কাটলি বরফি, জামাই পিঠা, পাটি সাপটা, গোলাপ ফুল পিঠা, লবঙ্গ পিঠা, শামুক পিঠা, রুপালি পিঠা, বুটের বরফি, মোহন ভোগ, ডিম সুন্দরী পিঠা, মাছের পিঠা, গাজরের হালুয়া, ডিমপুর, গোলাপ, আরশি নগর, ঝাল-মিষ্টি, হৃদয়হরণ পিঠা, শিম ফুল পিঠা, সূর্যমুখী, পাকোয়ান পিঠা, শামুক পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, রসে ভরা সবজি পিঠা, রস মলাই খিরপুলিসহ প্রায় ১০০ পদের পিঠা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন দামে বিক্রি করছেন এসব পিঠা। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে এসব পিঠা।
পিঠা-পুলি উৎসবে আসা শাকিল বলেন, এ শীতে মায়ের হাতের পিঠা খুব মিস করছি। ক্যাম্পাসে বসে শীতের পিঠা-পুলি উৎসবের আয়োজন করার জন্য ক্যাম্পাস বাউলিয়ানাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পিঠার মান খুব ভালো। বিভিন্ন জাতের পিঠা খেয়েছেন বলে তিনি জানান।
পিঠা উৎসবে পিঠা খেতে আসা আরেক শিক্ষার্থী সুমাইয়া ইভা বলেন, পিঠা নিয়ে উৎসব হচ্ছে শোনামাত্রই পিঠা খেতে এ উৎসবে চলে এসেছি। কয়েক রকম পিঠা খেয়েছি ইতোমধ্যে। খুবই সুস্বাদু পিঠা এবং দামও তুলনামূলক কম। বিকালে কনসার্টেও থাকবেন বলে জানান এ শিক্ষার্থী।
পিঠা উৎসবের আয়োজক এক শিক্ষার্থী বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধারণ এবং সম্প্রীতির মেলবন্ধনকে অটুট রাখতে আমাদের এ আয়োজন। প্রতিবছর এই ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতেও করবেন বলে জানান তিনি।