গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় উন্নয়নের আলো ফুটিয়ে তুলছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ একজন সৎ,যোগ্য ও নির্লোভ ব্যক্তি। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই সবার কাছের মানুষ ও প্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি সর্বদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। জানা যায়, তিনি ১৯৭৮ সালের ১জানুয়ারি শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের বিন্দুবাড়ী(জিওসি) গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম মোঃ নূরুল ইসলাম মোল্লা। ১৯৮৬ সালে বিন্দুবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি, ১৯৯২ সালে ভাংনাহাটী রহমানিয়া কামিল মাদরাসা থেকে দাখিল এবং ১৯৯৪ সালে আলিম পাশ করেন। ১৯৯৭ সালে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে বিএ অনার্স এবং ১৯৯৮ সালে একই বিভাগ থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০১ সালে শ্রীপুর উপজেলার বরামা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ২০১৩ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। একাধিকবার শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের স্বীকৃতিও লাভ করেন। ২০২২ সালের ৫ মার্চ বরামা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি অত্যন্ত সুনামের সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে নিরলস শ্রম দিয়ে যাওয়ার ফলে এ বছর বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফলে সুনাম অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষার গুণগত মানের পাশাপাশি তিনি প্রতিষ্ঠানেরও ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন।সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগে শ্রেণিকক্ষে নতুন টিন লাগানো,স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন অবস্থার অংশ হিসেবে একটি টয়লেট পাঁচটি প্রস্রাবখানা,মূল ফটক নির্মাণ,শ্রেণিকক্ষ সুসজ্জিত করনসহ মাদ্রাসার উন্নয়নের অবদানের জন্য বরমী এলাকায় ব্যাপক সুনাম শুনা যাচ্ছে তাঁর। ১৫ জানুয়ারী দুপুরে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় ওই মাদ্রাসার উন্নয়নের চিত্র। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি মাদ্রাসায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অত্যন্ত বিনয়ী ও দক্ষ শিক্ষাবীদ হওয়ার ফলে আবুল কালাম আজাদের সুনাম বাড়ছে শিক্ষাঙ্গনে। স্থানীয়রা আরো বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের ১ মাসের মধ্যে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয় মাদরাসা পরিদর্শন করে ফাজিল(ডিগ্রি)পাঠ দানের অনুমতি প্রদান করেন। তাঁর নেতৃত্বে বরামা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অবকাঠামো উন্নয়ন হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষক নেতৃবৃন্দও।
###