বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে(ববি) বঙ্গবন্ধু হল কর্তৃক আয়োজিত আউটডোর গেম ২০২৩ আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আউটডোর গেমস উদ্বোধনে দুই শিক্ষার্থীকে ব্যানারের খুঁটি হিসাবে ব্যবহারে ক্যাম্পাসে সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য। শিক্ষার্থীরা বলছেন এটি অমানবিক ঘটনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ট্রেজারার, হল প্রভোস্টসহ অতিথিদের বসার জন্য টেবিল চেয়ার থাকলেও ব্যানার টানানোর জন্য কোন ব্যবস্থা ছিলো না। তাই খুটিতে ব্যানার টানোর পরিবর্তে দুই শিক্ষার্থীকে দাঁড় করিয়ে তাদের হাতে ব্যানার তুলে দেয়া।
রবিবার সন্ধ্যা সাতটায় বঙ্গবন্ধু হলের ব্যাডমিন্টন মাঠে এই গেমসের উদ্বোধন করেন ববি ভিসি প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন ৷ এসময় মাঠের সামনে চেয়ার টেবিল দিয়ে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিসহ হলের আবাসিক শিক্ষকসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ৷ এদিকে ঐ সময়ে অনুষ্ঠানের ব্যানার ধরে দীর্ঘ ৪০ মিনিট (৭টা থেকে ৭.৪০) দাড়িয়ে থাকে দুই শিক্ষার্থী ৷ এরমধ্যে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তুলেছে৷
আশিকুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন,রডের বিকল্প বাঁশ, বাঁশের বিকল্প স্টুডেন্ট। বাঁশ খাওয়া স্টুডেন্টরা এখন নিজেরাই এক একটা বাঁশের ভূমিকায় দাড়িয়ে আছে। সততার কি অপূর্ব দৃষ্টান্ত।বাজেট হলেই সেখান দূর্নীতি হয়, তাই স্যার হয়তো বাজেটই দেয় নাই ব্যানার টানানোর৷
ক্ষুদ্ধ হয়ে আরেক শিক্ষার্থী আনোয়ার মন্তব্য করেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যারের প্রোগ্রামের অবস্থা ৷ বিষয়টি দুঃখজনক নয় বরং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এটা লজ্জার! আমার মনে হয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামের ব্যাপারে আয়োজকদের মোটেই ধারণা নেই।
দুই ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দুই শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দশম ব্যাচ(২০২০-২১) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অলিউল ইসলাম ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের নবম ব্যাচ (২০১৯-২০) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান৷
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ব্যানার নিয়ে দাড়িয়ে থাকা মিজানুর রহমান শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষার্থীরা এভাবে ব্যানার ধরে দাড়িয়ে থাকা দৃষ্টিকটু ৷ আয়োজকরা দুইটা বাশেঁর ব্যবস্থা করতে পারতো ৷
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষক আবু সালেম বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করে বলেন,আমি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলাম আমি দেখি নাই ৷ পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা স্বইচ্ছায় ছবি তোলার জন্য এমনটি করেছে বলে জানান ৷
শিক্ষার্থীদের দিয়ে ব্যানার ধরার বিষয়টি দুঃখজনক হিসাবে আখ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি মটেও সমীচীন হয়নি ৷ শিক্ষার্থীদের এমন প্রতিবাদী মূল্যবোধকে আমি সন্মান জানাই ৷পরবর্তীতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে হল প্রোভোস্টদের সাথে আমি কথা বলবো৷