বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের পিছনে ক্যাম্পাস এরিয়ার ভিতরে প্রবেশ করে মেয়েদের অশোভন ও আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করে বখাটে দুই যুবক। একেকদিন একেক সময় এসে শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করে বখাটেরা। অতঙ্কে ছাত্রীরা পড়াশোনাসহ দৈন্দিন কাজে মনোনিবেশ করতে পারছে না।
কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,প্রাচীরের নিচ দিয়ে এসে এরকম অশালীন আচরণ করছে। এছাড়াও রাতে হলের পিছনের রাস্তা থেকে মেয়েদের হলের দিকে চর্টলাইট জ্বালিয়ে তাদেরকে (মেয়েদের) প্রতিনিয়ত ডিস্টার্ব করা হয়। হল সংশ্লিষ্টকে এ বিষয় অবহিত করলেও যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে নাহ।
ক্যাম্পাস এরিয়ার ভিতরে এরকম ঘটনাকে কেন্দ্র করে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি মুঠোফোনে ধারনকৃত দুটি ভিডিও প্রতিবেদকের হাতে আসে। যার একটি ১৭ সেকেন্ড এবং অন্যটি ২মিনিট ১৬ সেকেন্ড। দুটি ভিডিওতে দুজন ব্যক্তিকে দেখা যায়।
ভিডিও তে দেখা যায় প্রাচীরের নিচের ফাঁকা জায়গা দিয়ে ক্যাম্পাস এরিয়ার ভিতরে ঢুকে এক যুবক দূর থেকে মেয়েদের হলের পিছনে দাঁড়িয়ে অর্ধউলঙ্গ হয়ে নানারকম আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করছে।এদের অশ্লীলতা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়৷ এ নিয়ে হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি ও অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাস এরিয়ার ভিতরে প্রবেশ করে এমন অসভ্য কাজকর্মের সাহস পায় কি করে? এরকম কর্মকাণ্ড ভাষায় প্রকাশ করার মতো। এখানে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? আমরা রুমে বসে এসব লম্পটদের জন্য ঠিকঠাক পড়তে পারছি নাহ। এর একটা সমাধান চাই। আমাদের হলের এ পাশে(হলের পিছনের রাস্তা) আমরা সিকিউরিটি চাই৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এসব ঘটনার সম্মুখীন নাহলে বোঝা যাবে নাহ বিষয়টা কতটা অস্বস্তিকর। হল সংশ্লিষ্টদের কয়েকবার জানিয়েছি৷ কিন্তু তারা কোনো ভ্রুক্ষেপই করেনি। এইবার আবার ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে তাই আমরা সরাসরি প্রক্টর স্যারকে জানিয়েছি৷
শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট রেহেনা পারভিন এর সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমি প্রতিদিন অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখি। কিন্তু এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসে নাই৷
তার সাথে আরো কথা বলে জানা যায়, মেয়েদের এভাবে উত্ত্যক্ত করার বিষয়টাও তিনি এখনো জানেন নাহ।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন,শিক্ষার্থীরা আমাকে বিষয়টি অবহিত করলে আমি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি এবং উত্ত্যক্তকারীদের ছবিও পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। তারা এদের শনাক্তকরনে কাজ করছে ৷ আশাকরি বিষয়টি সমাধান হবে।