সাবেক চীফ হুইপ ও বিএনপি চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, আওয়ালীগের পায়ের নিচে এখন আর মাটি নাই, বিএনপিকে বাদ দিয়ে তাদের আর নির্বাচন করা আর সম্ভব না। মঙ্গলবার বিকালে জেলা শহরের গ্র্যান্ড ভ্যালী হোটেলের মিলনায়তনে ১০ দফা দাবি এবং রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা বিষয়ে বিশ্লেষণমূলক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, ইভিএম হচ্ছে ইলেক্ট্রিক মেশিনে চুরির মেশিন। এর মাধ্যমে নির্বাচন বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় চুরি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি চরম রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে পর্যুদস্ত। এদেশে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, জ্বালানি, গ্যাস, পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন ও বিদ্যুতের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। পরিবহণ ব্যয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, এখানে একদিকে নজিরবিহীন মূল্যস্ফীতি,অন্যদিকে অনির্বাচিত সরকারের দুঃশাসন মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। তিনি বলেন, অর্থনীতির মূল খাতগুলো ক্ষমতাসীনদের যোগসাজশে একদিকে সীমাহীন দুর্নীতি, অন্যদিকে চরম অব্যবস্থাপনার ফলে মারাত্মকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অমার্জনীয় ব্যর্থতা, সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সীমাহীন লুটপাট ও ভয়ংকর ঋণ কেলেংকারি আর্থিক খাতকে ভঙ্গুর করে ফেলেছে। তিনি আরো বলেন, দেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি, ছিনতাই, সড়ক পথে চরম নিরাপত্তাহীনতা এবং সড়ক দূর্ঘটনায় শত শত মানুষের প্রাণহানি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণের ফলে চরম নৈরাজ্য এবং বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে দলীয় সংগঠনে পরিণত করবার অপপ্রয়াস বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকেও হরণ করছে। এই অনির্বাচিত সরকার সচেতনভাবেই একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এক কর্তৃত্ববাদী, একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। নির্বাচনব্যবস্থাকেও সম্পূর্ণ দলীয়করণ করেছে। নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করার ফলে ২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য হয়নি বলেও জানান তিনি। এসময় তিনি বর্তমান সরকারের কাছে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ১০টি ও রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ২৭টি রূপরেখার দাবি জানান। এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি মাম্যাচিং, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জসিম উদ্দীনসহ জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
###