৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে “বৈষম্য ও বেকার সৃষ্টির শিক্ষা ও সমাজ ব্যবস্থা বদল করতে, বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি বিরোধী রাজনীতি রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে” বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের অনুসারী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ননী-মাসুদ) কেন্দ্রীয় সংসদের উদ্যোগে ৪ঠা জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার সকাল ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অপরাজেয় বাংলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশিদুল হক ননীর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আহাম্মেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, ডাকসুর সাবেক নেত্রী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি। সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নঈমুল আহসান জুয়েল, সাবেক ছাত্রনেতা ও জাসদ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহসীন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জাতীয় যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সামছুল ইসলাম সুমন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহসান হাবীব শামীম, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসানাতুজ্জামান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আজিজ জনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সভাপতি চন্দ্রনাথ পাল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক নাঈম মল্লিক প্রমূখ।
সমাবেশ শেষে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন-জাতীয় ও দলীয় পতাকা সুসজ্জিত একটি বর্নাঢ্য র্যালি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পন করে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
প্রধান অতিথির ভাষণে জননেত্রী শিরীন আখতার এমপি বলেন, ছাত্রলীগ মানে একটি ইতিহাস, ছাত্রলীগ মানেই বাংলাদেশের ইতিহাস, সংগ্রামের ইতিহাস। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণঅভ্যূত্থান, ৭০’র নির্বাচন, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে গড়ে তোলা গণজাগরণ মঞ্চসহ সকল সংগ্রামে ছাত্রলীগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমাজের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মুক্তবুদ্ধি যুক্তি-জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছরের মাথায় শিক্ষাক্ষেত্র থেকে বৈষম্য-নৈরাজ্য-বিশৃংখলা-দুর্নীতি দূর করতে না পারাটা জাতীয় নেতা-নেত্রীদের ব্যর্থতা হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, কোনো অজুহাত না দেখিয়ে শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে বৈষম্য-বিশৃংখলা-নৈরাজ্য-দুর্নীতির অবসান করে একমূখী মানসম্মত বিজ্ঞানভিত্তিক কর্মমূখী শিক্ষা চালু করতেই হবে। শিক্ষা উপকরণের মূল্য হ্রাস করার জন্য জোর দাবী জানান।
তিনি শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধ-গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ইতিহাস ও চেতনা ধারন করে বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। সমাজের ও শিক্ষায় বৈষম্য অবসান করে, স্বাধীনতার চার মূলনীতি জাতীয়তাবাদ-গণতন্ত্র-ধর্মনিরপেক্ষতা-সমাজতন্ত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অপশাসন-দুঃশাসন-দুর্নীতি-সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক দফতর সম্পাদক হুমায়ুন সরদার, কৃষক জোটের নেতা কামরুজ্জামান ফসি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জাসদের দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মাহবুবুর রহমান খোকন, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, জাসদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আলেম আজাদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও জাসদ ঢাকা মহানগর পূর্বের দফতর সম্পাদক সোহানুর রহমান সোহান, যুব জোটের ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি আলাউদ্দিন খোকন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তানিয়া ইসলাম তন্নি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান নিলয়, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক রনি কাওছার, সদস্য শাহ মোঃ ছোরায়েদ সাদিসহ ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ এবং জাসদ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।