বুধবার (৪ জানুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কাউন্সিলিং সেন্টারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। র্যালি ও কেক কাটার মাধ্যমে উদযাপন করা হয়েছে প্রথম বর্ষপূর্তি। গত ১ বছরে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যার বিষয়ে সেবা দিয়েছে জবির কাউন্সিলিং সেন্টারটি। গত বছর মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবনতা যখন বেড়েই চলছিল তখনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং সেন্টার উদ্বোধন করা হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারছে। কাউন্সেলিং সেন্টার চালুর পর থেকে তেমন কেউ আর আত্মহননের পথ বেছে নেইনি বলে তথ্য পাওয়া গেছে। যারা সেবা নিয়েছে তার ৮৫ শতাংশ সুস্থ রয়েছে।
২০২২ সালের ৩রা জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের মানসিক সহায়তা প্রদানের লক্ষে ‘সুস্থ মন সুস্থ জীবন, গড়ে তুলি সুন্দর ভুবন’ স্লোগানকে সামনে রেখে ভাষা শহীদ রফিক ভবন চত্বরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সেলিং সেন্টার উদ্বোধন করা হয়। যাত্রা শুরু থেকে মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও মাস্টার্স অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে জবি কাউন্সেলিং সেন্টার।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) কাউন্সেলিং সেন্টারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে র্যালি বের হয় হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
র্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, কাউন্সেলিং সেন্টার পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মাদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমানসহ আরো অনেকে।
এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলিং সেন্টারের পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ জানান, প্রথম বছরে আমরা ৫০০’র বেশি শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যা বিষয়ে সেবা দিতে পেরেছি সেবা নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ ছিলেন হতাশাগ্রস্ত, ২৩ শতাংশ ছিলেন উদ্বিগ্ন, প্রেমের সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে সেবা নিয়ে ৮৫ ভাগ শিক্ষার্থী সুস্থ আছেন। ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী সেবা নিয়ে ভালো আছেন নতুন বছরে আমরা আরও বেশি শিক্ষার্থীকে সেবার আওতায় নিয়ে এসে মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে চাই।
কাউন্সেলিং সেন্টারে সেবার মান উন্নয়নের জন্য সেবাপ্রর্থীরা তাদের চাহিদা ব্যক্ত করেছে। সেশন রুমের সংখ্যাবৃদ্ধি, রুমগুলো শব্দদূষণ মুক্তকরণ, শনিবারেও সেবা চালু রাখা, তাৎক্ষণিক সেবা চালুকরণ, সেবাসম্পর্কে, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, অপেক্ষার সময় হ্রাসকরণ প্রভৃতি।