সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো কিছু করার জন্য মুখিয়ে ছিলো বাংলাদেশ। সেটা আরও প্রমাণ হয় নিয়মিত কোচ জেমি ডে কে ছুটি দিয়ে বসুন্ধরা কিংসের অস্কার ব্রুজোনকে দায়িত্ব দেওয়াতে। বাংলাদেশ ভালো করেছে নাকি খারাপ করেছে, এটি বলা যাবে টুর্নামেন্ট শেষে। কিন্তু বাংলাদেশের শুরুটা যে দুর্দান্ত হয়েছে, এখন এটিই মুখ্য বিষয়।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) মালদ্বীপের রাজধানী মালের ন্যাশনাল ফুটবল স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে ১-০ গোলে হারিয়ে সাফে শুভ সূচনা করে জামাল ভুঁইয়ার দল। পেনাল্টি থেকে ম্যাচের ৫৬ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। পেনাল্টি থেকে গোলে জয় পেলেও লাল সবুজের প্রতিনিধিরা পুরো ম্যাচ জুড়ে অসাধারণ খেলেছেন।
সাদ-ইব্রাহীমরা প্রেসিং ফুটবল খেলে তঠস্থ রেখেছিলেন লঙ্কান ডিফেন্ডারদের। আক্রমণ হতে শুরু করে বল দখলের লড়াই, সব বিভাগে বাংলাদেশ ছড়ি ঘুরিয়েছে। বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু পুরো মাঠ দারুণ খেলা ব্রুজোনের শিষ্যরা লঙ্কান গোলপোস্টের সামনে এসে যেন খেই হারিয়ে ফেলে।
ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজার পর থেকে দারুণ খেলে বাংলাদেশ। তবে প্রথমার্ধে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মেলেনি। দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিট না যেতেই গোল দিয়ে উল্লাসে ভাসান তপু। লঙ্কানরা ডি-বক্সে হ্যান্ডবল করলে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। লাল কার্ড দেখেন ডাকসন পাসলাস। অসাধারণ স্পটে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি বসুন্ধরা কিংসে খেলা তারকা ডিফেন্ডার তপু বর্মণ।
দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া শ্রীলঙ্কা আর পেরে ওঠেনি বাংলাদেশের সঙ্গে। ম্যাচের ৫৮ শতাংশ সময় বল ছিল জামাল-তপুদের পায়ে। আক্রমণেও অনেক এগিয়ে ছিলেন ব্রুজোনের শিষ্যরা। লঙ্কানদের গোলবার লক্ষ্য করে ২৪টি শট নিয়েছে বাংলাদেশ, অন্যদিকে তারা নিয়েছে মাত্র ৯টি। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তপু।
ম্যাচে কয়েকবার দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ঝগড়াও লাগে। সব কিছু মিলিয়ে উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে শেষ হাসি হাসে বাংলাদেশ।
জয় দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ। এখনও অনেক পথ বাকি। জামাল-তপুদের দ্বিতীয় পরীক্ষা ভারতের সঙ্গে। ৪ অক্টোবর বিকেল ৫টায় শুরু হবে ম্যাচটি। লঙ্কা বধ হলো এবার মিশন ভারত বধ!