রংপুরের ভুরারঘাট বাজারে নৈশ্য প্রহরি জহুরুল ইসলাম ভোলাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে একদল ডাকাত। এরপর লাশ ফেলে রেখেছে পাশর্^বর্তি কচু খেতে। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, ভোলাকে হত্যা করে গোডাউনে ডাকাতি করা হয়েছে। লুট করা হয়েছে নগদ অর্থ। শনিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে, বলছে পুলিশ। পুলিশ ও এলাকাবাসি জানান, রংপুর সদর উপজেলার ভুরারঘাট বাজারে মের্সাস আল আরাফাত বানিজ্যলয়ের মালিক ফরহাদ হোসেনের গোডাউনে নৈশ প্রহরী হিসেবে কাজ করতো পার্শ্ববর্তী ফতেহপুর গ্রামের মৃত নয়েন উদ্দিনের ছেলে জহুরুল ইসলাম ভোলা (৬০)। তিনি অন্যান্য দিনের মতো গোডাউনের ভেতরেই ঘুমিয়ে ছিলেন। শনিবার ভোরে তাকে কৌশলে ঘুম থেকে ডাকলে তিনি গোডাউনের দরজা খুলে দেন। এ সময় ডাকাতরা নৈশ প্রহরী ভোলাকে কুপিয়ে হত্যা করে তার লাশ পাশ্ববর্তী একটি কচু ক্ষেতে ফেলে রাখে। শনিবার সকালে এলাকাবাসি নৈশ প্রহরী ভোলার লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়াও তার ডন হাতটি কেটে ফেলা হয়েছে। গোডাউনের মালিক ফরহাদ হোসেন জানান, গোডাউনের ফাইল কেবিনেট ভেঙ্গে নগদ অর্থ লুট করা হয়েছে। কী কারণে কারা এই কাজ করতে পারে তা তিনি ধরণাকরতে পারছেন না বলেও জানান। রংপুর সদর কোতয়ালী খানার ওসি সাজেদুল ইসলাম নৈশ প্রহরীকে খুন করার কথা স্বীকার করলেও ডাকাতির কথা মনতে নারাজ। তার দাবী, এটি ডাকাতি নয় চুরি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি। তবে প্রস্তুতি চলছে। গ্রেফতার করা যায়নি কাউকে।