রংপুরে ইউসেপ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা লিন্ডসে এ্যালান চেইনীর ৯২তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। রবিবার(৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রংপুর আঞ্চলিক কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেক কাটা হয়েছে। ইউসেফ বাংলাদেশটি নিউজিল্যান্ডের নাগরিক লেন্ডসে এল্যান চাইনী এর উদ্যোগে একটি অলাভজনক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে ১৯৭০ সালে আত্মপ্রকাশ করে। এ্যালান চেইনী বাংলাদেশ প্রথম এসেছিলেন ১৯৭০ সালে ঘুর্ণিঝড়ের পর। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর দ্বিতীয়বার আসেন। তিনি সে সময় একটি আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন। তখন তিনি স্থানে দেখলেন শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ কার্যক্রমে লিপ্ত আছে। তাই তিনি তাদের জন্য ‘কিছু’ করতে চান। এই ‘কিছু’একটা করার ভাবনা থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সহায়তায় প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ভবনে লিন্ডসে এ্যালান চেইনী শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন। তারপর তিনি ৬০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুর জীবন মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেন। বর্তমানে তা দেশের বৃহত্তম কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ হিসেবে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছরে প্রায় ৩৫ হাজার শিশু-কিশোর বর্তমানে ইউসেপ বাংলাদেশ থেকে সহায়তা লাভ করছে। এরমধ্যে ১৭ হাজার তরুণ-যুবা কারিগরি শিক্ষা লাভ করছে। এর প্রায় ৯০ ভাগ এর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হচ্ছে।ইউসেপ বাংলাদেশ বর্তমানে ১০টি জেলায় ৩২টি সাধারণ বিদ্যালয় ১০টি কারিগরি বিদ্যালয় দুইটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং ১৭টি টেকনিক্যাল আউটরিচ সেন্টারে মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইউসেপ বাংলাদেশ ৩৭ টি চাহিদাভিত্তিক তিন থেকে ১২ মাসের প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করছে। এর মধ্যে ২২ টি কোর্স জাতীয় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক যোগ্যতা কাঠামো অনুসরণ করে পরিচালিত হয়। এছাড়া চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (কম্পিউটার, অটোমোবাইল, টেক্সটাইল, সিভিল, ইলেকট্রনিক ও মেকানিক্যাল কোর্স পূর্ব অভিজ্ঞতার স্বীকৃতির জন্য মূল্যায়ন এবং সক্ষমতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। ইউসেপ বাংলাদেশ অতিক্রান্ত প্রায় ৫ দশক সময়ে উল্লেখিত কার্যক্রমের মাধ্যমে কয়েক লক্ষ তরুণ-যুবাকে সাফল্যের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আরোহণের সার্বিক সহায়তা প্রদান করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ রফিকুল ইসলাম আঞ্চলিক ব্যাবস্থাপক ইউসেপ রংপুর অঞ্চল বলেন,শিক্ষার্থীরা যাতে চাকরির ক্ষেত্রে দক্ষ উৎপাদনশীলতা এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ও কর্মসংস্থান দক্ষতা অর্জন করতে পারে, সে জন্য একটি সমন্বিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। যা ‘ভ্যালু-চেইন’ উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি জীবন ব্যাপী শিক্ষা পদ্ধতি অনুসর করানো হয়। আরো উপস্থিত ছিলেন,মোঃ আসাদুজ্জামান মিয়া টিভিউটি ইন্ডাস্টিউট,মোঃ সোলাইমান টিম লিডার স্যোসাল ইনক্লুড,সাইফুল ইসলাম অফিসার ডিসেন্ট ইমপ্লিমেন্ট, মোঃ ইমরান হোসেন অফিসার ডিসেন্ট ইমপ্লিমেন্টসহ অফিস স্টাফ ও প্রশিক্ষণ করতে আসা কারিগরি শিক্ষার্থীরা।