কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সকল ক্ষেত্রে জাতির পিতার আদর্শ চর্চার তাগিদ দিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মিরপুরে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং কমপ্লেক্সে দুপুর ১২টায় আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে গভীর শ্রদ্ধায় জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের পাশাপাশি দেশের সকল ফায়ার স্টেশন এবং অফিসসমূহে জাতির পিতার ছবি সংবলিত শোক দিবসের ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙানো হয়। এ দিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে দেশের সকল ফায়ার স্টেশন ও অফিসসমূহে জাতীয় ও বিভাগীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। সকালে ধানমন্ডি ৩২-এ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন। এ সময় পরিচালকগণ, প্রকল্প পরিচালকসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে মিরপুর ট্রেনিং কমপ্লেক্সে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। সকাল ৯টায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের অংশগ্রহণে মিরপুর ট্রেনিং কমপ্লেক্সে “জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ” বিষয়ে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২টায় সেখানে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি জাতির পিতা এবং তাঁর সাথে ১৫ আগস্ট শাহাদত বরণকারী সকল সদস্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ফায়ার সার্ভিসের অপারেশনাল কাজে আত্মাহুতি দেয়া শহিদদেরও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ফায়ার সার্ভিসে যোগ দেয়ার পর আমি ফায়ার সার্ভিসের সকল সিলেবাসে জাতির পিতার জীবনী অন্তর্ভুক্ত করেছি। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জাতির পিতা সম্পর্কে পড়তে হবে, জানতে হবে এবং সকল ক্ষেত্রে তাঁর আদর্শ চর্চা করতে হবে।” তিনি আজীবন রেশন প্রদানসহ ফায়ার সার্ভিস ও সারাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের প্রতি সকলকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় পরিচালকগণসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার আগে সেখানে জাতির পিতার ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। মিরপুরের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি সারাদেশের বিভাগীয় অফিসসমূহেও অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়। বাদ জোহর ফায়ার সার্ভিসের সকল মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়, এর পাশাপাশি মিরপুর ট্রেনিং কমপ্লেক্স মসজিদে কোরআনখানির আয়োজন করা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিসের নিজস্ব ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেইজে জাতির পিতার উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এছাড়া জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় অনুষ্ঠানসমূহে অগ্নি নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও অগ্নিনির্বাপণী গাড়ি-পাম্প নিয়োজিত করা হয়। খবর : ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল।