গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার এক মাসের মধ্যেই তা শিথিল করে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তারা এখন আগের চেয়ে বেশি দামের গাড়ি পাবেন।
নির্দেশনায় গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকার গাড়ি কেনা যাবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ২০১৯ সালে এটি ছিল ৯৪ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার রাতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে সোমবার প্রজ্ঞাপনটির অনুমোদন হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২ জুলাই বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ কমাতে ও কৃচ্ছ্র সাধনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি দপ্তরে সব ধরনের যানবাহন ক্রয় বন্ধ থাকবে বলে পরিপত্র জারি করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়।
তবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরের সরকারি কর্মচারীদের জন্য যানবাহন ক্রয় বা বরাদ্দের ক্ষেত্রে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। গত সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির কার, জিপ, পিকআপ, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, অ্যাম্বুলেন্স, কোস্টার বা মিনিবাস (এসি/ননএসি), বাস (ননএসি) ও ট্রাকের বাজারদর বিবেচনা করে যানবাহনের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হলো।
গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য জিপ (অনূর্ধ্ব ২ হাজার ৭০০ সিসি) কেনা যাবে ট্যাক্স ও ভ্যাটসহ ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকায়। গ্রেড-৩ বা তার নিচের কর্মকর্তাদের জন্য জিপের (অনূর্ধ্ব ২ হাজার সিসি) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ লাখ টাকায়।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের জিপের দাম ছিল ৯৪ লাখ টাকা এবং গ্রেড-৩ বা তার নিচের কর্মকর্তাদের জন্য ছিল ৫৭ লাখ টাকা।
রেজিস্ট্রেশন ও ভ্যাটসহ কারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা (অনূর্ধ্ব ১ হাজার ৬০০ সিসি)। ২০১৯ সালে যা ছিল ৩৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ, এবার মূল্য ১০ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
এ ছাড়া পিকআপ (সিঙ্গেল কেবিন) ৩৮ লাখ টাকা এবং ডাবল কেবিন পিকআপের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ লাখ টাকা। মোটরসাইকেল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, মাইক্রোবাস ৫২ লাখ টাকা, অ্যাম্বুলেন্স ৫৪ লাখ টাকা, কোস্টার বা মিনিবাস ৭৫ লাখ টাকা, ননএসি মিনি বাস ৩২ লাখ টাকা, বড় ও ননএসি বাস ৪৬ লাখ টাকা, ৫ টন ট্রাকের দাম ৩৯ লাখ এবং ৩ টন ট্রাকের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।