জেল থেকে বেরিয়ে বাদি ও স্বাক্ষীর উপর হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবিতে ২ ঘন্টার জন্য দাহ্য পদার্থ বহনকারী ট্যাংকলরী বন্ধ রেখে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেন রংপুর বিভাগীয় দাহ্য পদার্থ বহনকারী ট্যাংকলরী ইউনিয়নের শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিভাগীয় দাহ্য পদার্থ বহনকারী ট্যাংকলরী ইউনিয়ন নগরীর বাবুপাড়াস্থ কার্যালয়ে বেলা ১২টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচীর পালন করেন তারা। কর্মসূচীর মধ্যে ২ ঘন্টা ব্যাপী সমস্ত কাজ বন্ধ রাখা, ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে থেকে তাজহাট থানাধীন মূল-মূল সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশ পালন। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলাউল মিয়া (লাল্লু)সহ আহত তিনজনের উপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা না হলে আগামী রবিবার হতে দেশ ব্যাপী কর্মবিরতি পালন করা হবে। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলাউল মিয়া (লাল্লু)’র নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সহ-সম্পাদক উকিল খান, কোষাধ্যক্ষ সবুজ মিয়া, সড়ক সম্পাদক নাসিম মিয়া, প্রচার সম্পাদক বড় সাকিল, কার্যকরী সদস্য সিরাজসহ সকলস্তরের সদস্য বৃন্দ।
এ ব্যাপারে মামলার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই মেহেরুল বলেন, মামলা পেয়ে হামলার সত্যতা পেয়েছি। আসামী ধরার জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে। উল্লেখ্য, রংপুর মহানগরীর তাজহাট থানাধীন স্টেশন রোডস্থ বাবুপাড়া এলাকাবাসী ইউসুফের কাছে শাকিল (৪৫) গত দুই বছর আগে টাকা হাওলাত নেন। এরই জেরে গত মার্চের ২৭ তারিখে রংপুর বিভাগীয় দাহ্য পদার্থ বহনকারী ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নে বিচার হয়। ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় দু-গ্রুপ একত্রিত হলে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি শুরু হয়। এমতাবস্থায় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলাউল মিয়া (লাল্লু) হাতাহাতির মাঝে এগিয়ে আসলে শাকিলের নির্দেশে একই এলাকার ঈশা, রাজন, মুসা, ভলু, রাকিব লাঠি, সোঠা নিয়ে ইউসুফ ও আলাউলের উপর হামলা চালায় এবং ইউনিয়নের চেয়ার, টেবিল ভাংচুর করে। এ সময় অন্যান্য লোকজন এগিয়ে আসলে তারা হুমকি, ধমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলাউল মিয়া বাদি হয়ে তাজহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা করা হলে ঈশাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ঈদুল ফিতরের তিন, চারদিন আগে জাবিনে বের হোন ঈশা, বের হয়ে পূর্বের মামলার জেরে ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের পাশের রাস্তায় সাধারণ সম্পাদক আলাউল মিয়া (লাল্লু)’র বাসা যাওয়ার রাস্তায় পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঈদের পরের দিন দুপুরে আচমকা শাকিলবাহিনী হামলা চালায়, এতে সাধারণ সম্পাদক আলাউল মিয়াসহ দপ্তর সম্পাদক জোয়াদ খান তুফান ও আলাউলের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত জীবন গুরুতর আহত হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৪ এপ্রিল কর্মবিরতির মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ করেন রংপুর বিভাগীয় দাহ্য পদার্থ বহনকারী ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।