চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য খাইরুল আলম জেমকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে জেলা শহরের উদয়ন মোড়ে অতর্কিত হামলা করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রসীরা। এ সময় তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। নিহত জেম শিবগঞ্জ পৌর এলাকার মরদানা গ্রামের মাইনুল আহসান এডু মাস্টারের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী যুবলীগ নেতা মামুন আলী বলেন, উদয়ন মোড়ে ইফতার নেওয়ার পর বাসায় ফেরার পথে কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে ঘিরে আঘাত করতে থাকে। হাসপাতালে জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার মনিরা সুলতানা বলেন, সন্ধ্যায় গুরুতর আহত অবস্থায় জেমকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা চলাকালে রাত ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির মাথায় বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এতে রক্তশূন্য হয়ে তিনি মারা গেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল ও থানায় ভিড় করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। রাতে জেলা শহরে যুবলীগ নেতা খাইরুল আলম জেমকে হত্যার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে মিছিল করেন নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে তারা থানা ঘেরাও করে। পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। প্রসঙ্গত, গত ১৩ এপ্রিল শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউপি সদস্য আলম আলী ঝাপড়া হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ১৫ এপ্রিল ফেসবুকে লাইভ করেন জেম। লাইভে তিনি এক পুলিশ কর্মকর্তাকে দোষারূপ করেন। এতে তিনি তার প্রাণনাশের আশঙ্কার কথা জানান।