চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার তিন উপজেলা গোমস্তাপুর, ভোলাহাট ও সদর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌরসভার প্রসাদপুর হঠাৎপাড়া মহল্লার আজিজুল হকের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫), ভোলাহাট উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের চামা মুশরিভুজা গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৬০), একই উপজেলার কৃষক ওমর আলী (৫৫) ও সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের তেররশিয়া খাড়োপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার মেম্বরের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৫)। এদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন বজ্রপাতের সময় স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা খাতুন জানান, সোমবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌরসভার প্রসাদপুর হঠাৎপাড়া মহল্লায় নিজ বাড়িতে বসে মোবাইল ফোন দেখছিলেন শরিফুল ইসলাম। এ সময় বজ্রপাত হলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরিবারের লোকজন গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে । অন্যদিকে ভোলাহাট থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন-সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভোলাহাট উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেন ধানের জমিতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতের সময় স্ট্রোক করে মারা যান। একই সময়ে সদর উপজেলার জামতলা এলাকায় ধানের জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ওমর আলী নামের এক কৃষক। তিনি ভোলাহাট উপজেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রওশন আলী। এর আগে গত রোববার বিকালে মাঠে কাজ করার সময় সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের তেররশিয়া খাড়োপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। পরেবারের লোকজন তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ও সদর মডেল থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন।