কুড়িগ্রামের রৌমারীতে হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন ৬৬ জন রোগী। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, সু-চিকিৎসা পাচ্ছেন না তারা। চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনে প্রচণ্ড গরম, রোটা ভাইরাস ও ফুড পয়জনিং জনিত কারণে এ রোগ বেড়েছে। সোমবার দুপুরে সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা যায়, (১০ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত) এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৬৬ জন শিশু ও বৃদ্ধ। এদের মধ্যে কেউ চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে। এছাড়াও বর্হিবিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে প্রায় দুই হাজার ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী। সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। এসব রোগীকে দেওয়া হচ্ছে শুধুমাত্র স্যালাইন। মিলছে না অন্য ওষুধ। ওষুধ কিনে আনতে হচ্ছে বাইরের দোকান থেকে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীর অভিভাবকরা। উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের উজান ঝগড়ারচর গ্রামের রফিকুল ইসলাম। তার ১৬ মাস বয়সের ছেলে হোসাইনকে বুধবার সকাল ১১টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। এখান থেকে শুধু একটি স্যালাইন পেয়েছেন। অন্য সব ওষুধ বাইরের দোকান থেকে কিনে আনতে হয়েছে তাকে। রৌমারী সদর ইউনিয়নের নতুনবন্দর এলাকার মাহমুদুল ইসলাম বলেন, বুধবার বিকালে হঠাৎ ডায়রিয়া শুরু হয় তার দুই বছর বয়সের শিশু সন্তান তোফা খাতুনের। পরে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ সময় তার শিশু সন্তানকে শুধুমাত্র স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। উপজেলার ডাটিয়ারচর এলাকার গোলজার হোসেনের দুই বছরের শিশু সন্তান সালমাকে ডায়রিয়া আক্রান্ত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। গোলজার বলেন, এখানে স্যালাইন ছাড়া অন্য কিছু মেলে না। রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন, প্রচণ্ড গরম, রোটা ভাইরাস ও ফুড পয়জনিংজনিত কারণে ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে এক সপ্তাহে ৬৬ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে বেশি ভাগই শিশু। এছাড়া বর্হিবিভাগে প্রায় দুই হাজার ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। তিনি জানান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বেশি বেশি তরল খাবার দিতে হবে। এছাড়াও খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।