লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে দখল হয়ে যাচ্ছে অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা বধ্যভূমি গুলো। মুক্তি যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বধ্যভূমি গণকবরের উপর গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন। এনিয়ে ক্ষুব্ধ মুক্তি যোদ্ধা সহ স্থানীয়রা। বধ্যভূমি দখল মুক্ত করে সংরক্ষণের ব্যাপারে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় দখলদাররা ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নতুন প্রজন্ম কে মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস জানতে দ্রুত বধ্যভূমি গুলো সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সচেতন মহল। মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে মুক্তি যুদ্ধ শুরু থেকে বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী রামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে ও মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এনে রামগঞ্জ এম ইউ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হত্যা করে লাশ সেন বাড়ির সামনে ও থানার পিছনে বেড়ীবাঁধের পাশে গর্ত করে মাটি চাপা দেয়। অভিযোগ রয়েছে প্রশাসনের গাফিলতির কারনে সেন বাড়ির বধ্যভূমিতে গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন। এখন নতুন করে বধ্যভুমিতে স্থাপনা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা। এদিকে বধ্যভূমিতে যারা ভবন নির্মাণ করছেন তাদের দাবি মুক্তি যুদ্ধের পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় জমির মালিক বধ্যভূমির জমিটি তাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মুক্তি যুদ্ধের সময় রামগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি বর্বর বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আলবদরও আস শামস বাহিনী। রামগঞ্জ উপজেলা মুক্তি যোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সালেহ আহম্মেদ পাটোয়ারী জানান রামগঞ্জ এম ইউ সরকারি উচ্চ বিদ্যালযের উত্তর পাশে সেন বাড়ির পুকুরে শহীদ কালা মিয়া সহ অগণিত মানুষকে হত্যা পর ফেলে রেখেছে পাকিস্তানি বর্বর বাহিনী। ওই স্হানটিতে মুক্তি যুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য বলা হলে ও পরবর্তী তে অদৃশ্য কারণে তা হয়নি। অথচ মুক্তি যুদ্ধে রামগঞ্জে সবচেয়ে বেশি মানুষ হত্যার পরে লাশ সেন বাড়ির প্রাঙ্গণে পুকুরে, জেলা পরিষদরর খালে ও থানার পিছনে বেড়ীবাঁধের পাশে গর্ত করে মাটি চাপা দিয়ে রাখে। স্বাধীনতার পর থেকে এখনো পর্যন্ত তা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দ্রুত সেন বাড়ির বধ্যভূমি সহ ব্যক্তি মালিকানা বধ্যভূমি গুলো অধিগ্রহণ করে স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের দাবি জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থাপনা নির্মাণ কারিরা জানান সরকার স্বাধীনতার পর থেকে জমি অধিগ্রহণ করবে বলে আর করেননি, তাই জমির মালিক বিক্রি করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে সেন বাড়ির বধ্যভূমিতে তিনতলা একটি ভবন নির্মাণ হয়েছে। আরো একাধিক ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। এদিকে বধ্যভূমিতে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর রাশেদুল হাসান বলেন সরকার মালিকানা জমির বধ্যভূমি গুলো অধিগ্রহণ করলে বধ্যভূমি ক্রয়বিক্রয় হতো না এবং কি বধ্যভূমিতে ভবন নির্মাণের সাহস কেউ পেতনা। উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতায় আমরা খোঁজ নিয়ে মন্রণালয়কে বিষয়টব অবিহিত করবো পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।