দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে বিগত কয়েকমাস ধরে সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। বাজার নিয়ন্ত্রণে বাড়ানো হয় মনিটরিং। টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করা হয় পণ্য। পাশাপাশি ওএমএস এর মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে চাল। ভিডব্লিউবি প্রকল্পের আওতায় হতদরিদ্র মহিলাদের দেয়া হচ্ছে চাল। সরকারের বহুমুখী উদ্যোগের কারণে চালের বাজারে সুখবর আসা শুরু হয়েছে। কমতে শুরু করেছে দাম। সরেজমিন মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) খুলনার কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সবধরণের চালের দাম ২ থেকে ৩ টাকা করে কমেছে। মোটা চাল পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৫ টাকা, আর খুচরা ৪৬- ৪৮ টাকা। মাঝারী চাল পাইকারী ৫১-৫৩ টাকা আর খুচরা ৫৪-৫৭ টাকা। চিকন চাল পাইকারী ৬৮-৭০ টাকা আর খুচরা ৭০-৭৩ টাকা। এসব চালের মূল্য এক সপ্তাহ আগে বর্তমানের চেয়ে ২ থেকে ৩ টাকা বেশি ছিল। খুলনার বড় বাজারের পাইকারী চাল ব্যবসায়ী সোহাগ বাণিজ্য ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী রায়হান দেওয়ান বলেন, ওএমএস ও ভিডব্লিউবি কার্ডের চাল পাওয়ায় চাহিদা কমেছে। এক সপ্তাহ যাবৎ চালের বাজার নিম্নমুখী। একই বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা সবুজ স্টোরের মালিক সবুজ বলেন, বাজারে ক্রেতা কম। বেচা বিক্রি তেমন ভালো হচ্ছে না। আগে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ বস্তা চাল বিক্রি হত। আর এখন ৪ থেকে ৫ বস্তা চাল বিক্রি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে, খুলনা জেলায় ৮২ হাজার ৪৮১ টি কার্ডের মাধ্যমে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ডিলাররা ৪৭৪ মেট্রিক টন চাল তুলেছে। ওএমএস এর আওতায় খুলনা মহানগরীতে ৩৭ টি পয়েন্টে ৩০ টাকা দরে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন ৬২ টন করে মাসে ২২ দিন এ চাল বিক্রি করা হয়। এছাড়া মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ভিডব্লিউবি প্রকল্পের আওতায় খুলনা জেলায় ২৩ হাজার ৯৪৩ জনকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। ভারত থেকে চাল আমদানি হচ্ছে না। খুলনার ১০টি সরকারি খাদ্য গুদামে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইতোমধ্যে কমতে শুরু করেছে। বোরো ধান উঠা শুরু করলে দাম আরও কমবে। তিনি আরও বলেন, খুলনার ১০টি খাদ্য গুদামে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল মজুদ রয়েছে।