স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইভটিজিং এবং র্যাগিং বন্ধের জন্য সরকার বিশেষ আইন প্রণয়ন করেছেন । তথাপি স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের বারংবার হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। ইভটিজিং বন্ধে ২২ শে ফেব্রুয়ারি বুধবার বগুড়া ধুনটে ধুনট থানা পুলিশের উদ্যেগে ইভটিজারদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয় ।
এবিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম জানান, প্রতিদিন ধুনট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এবং ধুনট সরকারী নঈম উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সময় স্থানীয় কিছু বখাটেরা মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে , এ বিষয়ে উপজেলা হলরুমে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা মিটিং এ আলোচনা হয় । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বাবা থানায় মৌখিক অভিযোগ করেন, অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, অভিযানে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। শুধুমাত্র ইভটিজিং নয় ইদানিং ধুনটে বেশ কিছু নাবালিকা স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে । সে কারণে বালিকা বিদ্যালয়ের গেটের আশেপাশে সিএনজি, প্রাইভেট কার স্ট্যান্ড করতেও নিষেধ করা হয়েছে । কিছু ছেলেদের পিতা-মাতার সাথে কথা বলা হয়েছে, স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের উত্যাক্ত করার বিষয়ে কোনরুপ প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
অভিযান পরিচালনা করেন ধুনট থানার সেকেন্ড অফিসার আসাদুজ্জামান আসাদ, এস আই রুহুল আমিন খান, এস আই অমিত বিশ্বাস, এস আই মুস্তাফিজ আলম সহ কয়েকজন কনস্টেবল ।
এ প্রসঙ্গে ধুনট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক জনাব বিকাশ চন্দ্র সাহা বলেন, আমি মৌখিকভাবে বেশ কয়েকবার থানায় অভিযোগ করেছি কিন্তু কোন কাজ হয় নাই, বখাটেরা এলাকার স্থানীয় হওয়ায় কেউ তাদের নামে অভিযোগ করতে ভয় পায়, কিন্তু প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এবং ১টায় টিফিনের সময় এবং স্কুল ছুটির সময়ে এইসব বখাটেরা স্কুল গেটের আশেপাশে এবং চলাচলের রাস্তায় ভিড় করে, এদের কারনে আমাদের বিব্রত হতে হয়। বর্তমান ওসি স্যারের উদ্যোগে আমরা সন্তুষ্ট, স্থায়ীভাবে স্কুলগেইটে এইসব বখাটেদের উপস্থিতি বন্ধ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।