পঞ্চগড়ে বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা ৫টি মামলার ৮১ জন আসামীর মধ্যে ১৫ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার বিকেলে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক শরীফ হোসেন হায়দার এই ১৫ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামীরা হলেন- মো: শাওন, এটি এস তৌফিক মুছা, জাকির হোসেন, মোজাহার আলী, মো: কুয়েত, মো: সুহেল, মো: দুলাল, শরিফুল ইসলাম পারভেজ, মো: জুয়েল রানা, সাবিরুল ইসলাম, সুহেল রানা, এ. আর পলাশ, মো: নুরজামাল, মো: হিটলার, মো: মিলন। তারা প্রত্যেকেই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠণের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে। আসামী পক্ষের আইনজীবি ও জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক এ্যাড. আদম সুফি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আসামীদের মধ্যে মোট ৫৮ জন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন। আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা নিম্ন আদালতে পূণরায় জামিন আবেদন করলে বিচারক ১৫ জনের জামিন নামঞ্জুর করেন এবং বাকী ৪৩ জনের জামিন বহাল রাখেন। তিনি বলেন, যাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা তাদের পক্ষে আগামী ধার্যদিনে আবারও জামিন প্রার্থনা করবো। এর আগে, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে পঞ্চগড় জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি গণমিছিল বের করলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এঘটনায় পঞ্চগড় সদর থানার ৫ জন উপ-পরিদর্শক বাদী হয়ে ৫ টি পৃথক মামলা দায়ের করেন। এসব মামলায় মোট ৮১ জনের নাম উল্লেখসহ এক হাজারেরও অধিক অজ্ঞাত আসামী করা হয়। মামলায় সরকারি কাজে বাধা প্রদান, পুলিশের ওপর বল প্রয়োগ, ককটেল বিস্ফোরন, সড়ক অবরোধ এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ তোলা হয়।