বরগুনায় মৃত্যুর আগেই নিজের কবর (সমাধি) তৈরি করেছেন ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ। ওই বৃদ্ধের ইচ্ছা মৃত্যুর পরে এখানেই যেন তাকে দাফন করা হয়।নিজের কবর তৈরি করা ওই বৃদ্ধের নাম দুলাল ফকির। ‘ডোম দুলাল’ নামে সকলের কাছে বেশ পরিচিত তিনি।
দুলাল ফকির বরগুনা সদর উপজেলার ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়নের পোকটাখালী এলাকায় বসবাস করেন। নয় ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ঢলুয়া আবাসন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত দুটি ঘরে যৌথভাবে বসবাস করে আসছেন তিনি। এখানেই সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ১০ একর জমির সামান্য একটু অংশে নির্মাণ করেছেন তার নিজের কবরস্থান।
দুলাল ফকির প্রায় ৩৫ বছর ডোমের (মৃতদেহ কাটা ছেড়া) কাজ করেছেন। এছাড়াও ঝাড় ফুঁকের মাধ্যমে সাপে কাটা রোগীদের সুস্থ করারও কাজ করেন তিনি।
দুলাল ফকির বলেন, বরগুনা জেলা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডের চরকলোনিতে ৩৫ বছর যাবৎ ডোমের কাজ করেছি, এখন আমার ছেলে ডোমের কাজ করে। সারাজীবন ডোমের কাজ করেই নিজের ও পরিবারের ভরনপোষণ করেছি। শেষ বয়সে আমি কারো বোঝা হতে চাই না। মৃত্যুর পরে যেন আমাকে এই কবরেই দাফন করা হয়, তাই জীবিত থাকা অবস্থায় আমি নিজেই নিজের কবরস্থান নির্মাণ করে জায়গা নির্ধারণ করে রেখেছি।
তিনি চান তার মৃত্যুর পরে তাকে এখানেই দাফন করা হোক।
দুলাল ফকিরের সন্তান ও এলাকাবাসী বললেন, যেখানে তার মৃত্যু হোক আমরা তাকে কথা দিয়েছি আমরা তার লাশ এনে এই কবরে দাফন করবো।
স্থানীয় গণকবর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু হানিফ বলেন, মৃত্যুকে স্মরণ করা, কবরের জায়গা নির্ধারণ করা বা কবরের নির্ধারিত জায়গা উঁচু করা ইসলামে এ বিষয়গুলো ভালো এবং জায়েজ আছে। কিন্তু কবর খোড়া, কাফনের কাপড় কিনে ঘরে রাখা এগুলো এক প্রকার বাড়াবাড়ি।