দুই আসনে উপনির্বাচন ও জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের সব জেলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে বর্তমান কমিশন গঠন হওয়ার পর মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৃহৎ পরিসরে এটাই প্রথম বৈঠক।
শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অডিটরিয়াম প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে বর্তমান কমিশন গঠন হওয়ার পর মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৃহৎ পরিসরে প্রথম এ বৈঠক হচ্ছে। বৈঠকে ডিসি-এসপিরা ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক উপস্থিত আছেন।
বৈঠকের স্বাগত বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ডিসি-এসপিদের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ও স্থানীয় সরকার গঠনের গুরুত্ব অনুধাবনের কথা বলেন।
সংবিধান ও বিভিন্ন আইন অনুযায়ী নির্বাচন বছর ধরেই একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘সংসদ নির্বাচন পাঁচ বছর অন্তর অন্তর হয়ে থাকলেও স্থানীয় সরকার বিষয়ক বিভিন্ন নির্বাচন সারা বছর ধরেই চলমান থাকে।’
আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন ও এরপর জাতীয় সংসদের দুটো উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, আগামী বছরের শেষ প্রান্তিকে বা ২০২৪ সালের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন।
জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারদের জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘পদাধিকারবলে আপনারা জনগণের কাছাকাছি থেকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ও স্থানীয় সরকার গঠনের গুরুত্ব আপনারা নিশ্চয়ই অনুধাবন করে থাকেন। এ সভার উদ্দেশ্য সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ সকল নির্বাচন বিষয়ে আপনাদের এবং কমিশনের সমন্বিত দায়িত্ব, ভূমিকা ও করণীয় নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করা। আশা করি কার্যকর আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে সভা সফল ও ফলপ্রসূ হবে।
উল্লেখ্য, ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন, ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন ও ৫ নভেম্বর ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচন এবং ২ নভেম্বর স্থানীয় সরকারের বেশ কিছু নির্বাচন রয়েছে।
নবচেতনা /আতিক