কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) এর সুষ্ঠু নির্বাচন চায় সরকার। এই নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেটাই সরকারের চাওয়া। এতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হারলেও জনগণ বিজয়ী হবে। ফলাফল যাই আসুক আওয়ামী লীগ তা মেনে নেবে।
রোববার সকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।
এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হারলেও সরকারের কোনো ক্ষতি হবে না বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই সরকারের গ্রহণযোগ্যতাকে বিলীন হতে দেওয়া যাবে না।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন কমিশন আইন না হওয়াটা সব সরকারের একটা দুর্বল দিক। আইন হওয়া উচিত ছিল। সেটা হলে এখন এত বিতর্ক হতো না। তবে আইন না হলেও নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে যে সার্চ কমিটি গঠন হবে, সেটা নিরপেক্ষ হবে।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রপতি কোনো দলের নয়, রাষ্ট্রের। যারা নির্বাচন কমিশনার হন, তারা চাইলেই নিরপেক্ষ থাকতে পারেন। নিরপেক্ষ না থাকা ব্যক্তির দুর্বলতা, আইনের নয়।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার (হাতি), খেলাফতে মজলিশের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি), ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা মো. মাসুম বিল্লাহ (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল ইসলাম (ঘোড়া), খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ) ও কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাত ঘড়ি)।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন গঠিত হওয়ার পর এটি তৃতীয় নির্বাচন। মোট ভোটার রয়েছেন পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন। দুই লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন পুরুষ ও দুই লাখ ৫৭ হাজার ৫১১ জন নারী।