জনগণের পাশে থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার গণ্যমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এ আহ্বান জানান।
সেতুমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু এখন অতীত ইস্যু এবং দেশের উচ্চ আদালতে বিষয়টি মিমাংসিত। এ নিয়ে মাঠ গরম করার কোনো প্রয়োজন নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নতুন বছরে রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারা প্রতিষ্ঠা করতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নেত্রীই এক সময় বলেছিলেন, শিশু ও পাগল ছাড়া নিরপেক্ষ কেউ নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে, যা বিএনপি সম্ভবত ভুলে গেছে। বিএনপি সংলাপ বা নির্বাচনে অংশ না নিলে কোনো কিছুই থেমে থাকবে না। এমনকি থেমে থাকবে না রাষ্ট্রের গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা। বিএনপির কাজই হলো সরকার এবং দেশের কল্যাণকর যেকোনো প্রয়াস ও অর্জনকে বিতর্কিত করা।
তিনি আরো বলেন, সবকিছু নিয়ে বিতর্ক করতে গিয়ে আজ জনগণের কাছে বিএনপির নেতারাই বিতর্কিত। অপরিণামদর্শী রাজনীতির কারণে আজ তারা গভীর খাদের প্রান্তে। তাদের হাঁক-ডাক নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করা এবং নেতাকর্মীদের মনোবল ধরে রাখার ব্যর্থ প্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নির্বাচন দিতে মির্জা ফখরুলের দাবির প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে নির্বাচনের দাবি করার প্রয়োজন নেই। সরকারের মেয়াদ শেষে দেশে যথাসময়ে সাংবিধানিক বিধি-বিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি নির্বাচন দাবি করলেও শেষ মূহুর্তে মাঠ থেকে সরে যায় কিনা, জনগণ সে আশঙ্কায় রয়েছে। কারণ বিএনপি নির্বাচন ও জনগণকে ভয় পায়। কারণ দলটির নেতারা কখনো গণরায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়।