নতুন বছরের প্রথম দিনেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে আগে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি কিউইরা। টাইগার বোলারদের তোপে দিন শেষ হয়েছে সমতায়।
প্রথম দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৫৮ রান।
বে ওভালের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে শনিবার সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে বোলিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। তাসকিন, শরিফুল ও ইবাদতকে নিয়ে সাজানো টাইগারদের পেস আক্রমণের শুরুটাও ভালোই ছিল।
তাসকিন ও শরিফুল দুজনেই সুইং আদায় করে নেন। তবে প্রথম সাফল্য পান চোট কাটিয়ে টেস্ট দলে ফেরা শরিফুল। কিউই ওপেনার ও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক টম ল্যাথামকে দিনের চতুর্থ ওভারেই বিদায় করেন তিনি।
শরিফুলের ভেতরে ঢোকা বল ল্যাথামের (১) ব্যাটের ভেতরের কানা ছুঁয়ে প্যাডে লেগে যায় পেছনে। আর ঝাঁপিয়ে তা এক হাতে তালুবন্দি উইকেটরক্ষক লিটন দাস।
ল্যাথাম বিদায় নেয়ার পর উইকেটে থিতু হয়ে রানের ফোয়ারা ছোটান ইয়ং ও কনওয়ে। ইয়াং প্রথম রানের দেখা পান ২২ বল খেলে। কনওয়েও ২২ বলে রান করেন মাত্র ২। তবে ধীরে ধীরে হাত খুলতে শুরু করেন দুজনেই।
১০২ বলে এই জুটিতে ফিফটি রান আসে। প্রথম সেশনটা আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি তারা। দ্বিতীয় সেশনে কিছুটা মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ন হন কনওয়ে ও ইয়াং। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে ১০১ বলে ফিফটি তুলে নেন কনওয়ে।
এর কিছু পরে ১৩১ বলে ফিফটির দেখা পান ইয়াং। দুজনের জুটিতে আসে ১৩৮ রান। ম্যাচে যখন প্রাধান্য বিস্তার প্রায় করে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড, এমন সময় রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ইয়াং। এর আগে খেলেন ৫২ রানের ইনিংস।
বিপদজনক রস টেইলর ৩১ রানের বেশি করতে পারেননি। এর কিছু পরে বছরের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন কনওয়ে। বিপদজনক হয়ে ওঠা এই ব্যাটারকে ফেরান বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল।
পার্ট টাইমার হিসেবে বোলিংয়ে আসা মুমিনুলের লেগ সাইডের বল গ্লান্স করতে গিয়ে ব্যাটে বলে ঠিকঠাক করতে পারেনই তিনি। যে ভুলের খেসারত দিতে হয় সাজঘরে ফিরে। বল সোজা চলে যায় লিটন দাসের গ্লাভসে। এর আগে করেন ১২২ রান।
দিনের শেষটা আর কোনো উইকেট না হারালে হয়তো খুশি হতো নিউজিল্যান্ড। তবে স্বাগতিকদের হতাশ করেন এবাদত হোসেন। টম ব্লান্ডেল ১১ রানে তার ডেলিভারিতে বোল্ড হলে সেখানেই শেষ হয় দিনের খেলা। একই সঙ্গে শেষ সেশনটা নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ।