কয়েকদিন আগেই এই বছরে ক্রীড়াঙ্গনের সব থেকে বড় সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আর এই জয়ের নায়ক ডিফেন্ডার আনাই মগিনি।
মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে খুশি আনাই। তিনি জানান, ফাইনালের আগের দিন মা ফোন দিয়ে বলেছিলেন, ভালো খেলো। তোমাদের জয়ী হতে হবে।
ফাইনালে ছিলেন ডিফেন্ডার কিন্তু ফরোয়ার্ড হয়ে গোল করে দলকে এনে দিলেন শিরোপা।
আনাই বলেন, ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে আমাদের আলাদা লক্ষ্য ছিল। যদি আমি ফাইনালে খেলি তাহলে অবশ্যই নিজের সেরাটা দিয়ে খেলব। আসলে সবার একটা লক্ষ্য থাকে। প্রথম থেকে আমার লক্ষ্য ছিল, আমার পায়ে যেন গোলটা হয়। আমি ডিফেন্ডার হয়েও গোলটা পেয়েছি। প্রথম থেকেই আমার প্ল্যান ছিল আমার ক্রসিং থেকে হেডের মাধ্যমে একটা গোল হবে।
তিনি যোগ করেন, বিশ্বাস অনেক ছিল আমরা ইন্ডিয়াকে হারিয়ে জয়ী হবো। বিজয়ের মাসে আমরা বাংলাদেশকে একটা শিরোপা উপহার দিতে পেরেছি, এজন্য খুব ভালো লাগছে।
খুব সহজেই আজকের অবস্থানে আসেননি আনাই। এ প্রসঙ্গে আনাই জানান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে দিয়েই আমার ফুটবল জীবন শুরু। আমি মগাছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়লেও সেখান থেকে খুব কম খেলেছি। আমাদের গ্রামের যতীন ভাইয়ের সঙ্গে মাঠে যেতাম। তখন থেকে শুরু। আমার শিক্ষক বীরসেন চাকমা স্যার আমার খেলা পছন্দ করতেন। স্যার আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। ২০১৪ সালে আমি স্কুলের পর রাঙামাটির হয়ে খেলি। কিছু সমস্যার কারণে কেএফসি কাপে খাগড়াছড়ি মানে আমাদের জেলা অংশগ্রহণ করতে পারেনি। তাই আমি রাঙামাটির হয়ে খেলি।
তিনি যোগ করেন, প্রাইমারিতে খেলেছি। হাই স্কুলে খেলেছি। এভাবে খেলে খেলেই আমরা ঢাকায় এসেছি। তারপর ছোটন স্যার (গোলাম রব্বানী ছোটন) ও লিটন স্যার আমাদের খেলা পছন্দ করে আমাদেরকে এখানে ডেকেছেন। এভাবেই আমার ফুটবল খেলা শুরু।
নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে আনাই বলেন, প্রতিটা খেলোয়াড়ের লক্ষ্য থাকে জাতীয় দলের হয়ে খেলা। আমারও লক্ষ্য তাই। এখন বয়সভিত্তিক দলে খেলছি। এখানে ভালো করে জাতীয় দলে খেলতে চাই।