আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাঙালির যা কিছু মহৎ অর্জন তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে।
বুধবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন তিনি। এতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের লাগামহীন মিথ্যাচার, অশালীন বক্তব্য ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে ওবায়দুল বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে এ দেশে রাজনীতি শুরু করেছিল বিএনপি। স্বাধীন বাঙালি জাতিকে স্বৈরতন্ত্রের নাগপাশে আবদ্ধ করে গণতন্ত্র হরণের মাধ্যমে মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়া চিহ্নিত সেই অশুভ শক্তিই হলো বিএনপি। তারা এখনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সঙ্গে নিয়ে দেশবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।
সৃষ্টি থেকেই বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন একটি রাজনৈতিক দল। ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তই তাদের রাজনীতির হাতিয়ার। তারা নিজেদের জনবিচ্ছিন্নতা ঢাকতেই এ ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অসংলগ্ন প্রলাপ বকছেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশের জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। ধারাবাহিকভাবে জনগণের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতিও সাধিত হচ্ছে। অথচ বিএনপি নেতারা জনগণের ওপর নিপীড়নের ভিত্তিহীন কল্পকথা বলে চলেছেন।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা এবং কাজে মিল নেই। তারা জনমতের কথা বলেন, অথচ তারা জনমত যাচাইয়ের সাহস রাখেন না। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পান। নির্বাচনে জয়ী হয়েও বিএনপি মহাসচিব সংসদে যাননি, যা জনমতের সঙ্গে স্পষ্ট প্রতারণা। মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে অন্তরে স্বৈরতন্ত্র ও দেশবিরোধী আদর্শকে ধারণ করেন।
বিবৃতিতে বিএনপি নেতাদের অসংলগ্ন বক্তব্য, মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।