অসৌজন্য ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলায় মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি মঙ্গলবার বিকেলে ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মুরাদ হাসান মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগ বিব্রত। তাই দলীয়ভাবেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সামনে যে দলীয় বৈঠক হবে, সে বৈঠকে তার বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ময়মনসিংহ বিভাগের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তার কারণে আওয়ামী লীগ বিব্রত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের কারণে অবশ্যই দল বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে। তাই তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দলীয় বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
একজন প্রতিমন্ত্রীর এমন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সরকার এবং আওয়ামী লীগকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলায় দলের বৈঠকে অনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একাধিক নেতা সুপারিশ করবেন বলে জানা গেছে।
ডা. মুরাদ হাসান ২০১৪ সালে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ‘কার্যকরী সদস্য’ ছিলেন। পরে ২০১৫ সালে জেলার ‘স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক’ নির্বাচিত হন।
এছাড়া তিনি চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে প্রথমে মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ২০১৯ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য থেকে তাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সম্প্রতি কুরুচিপূর্ণ ও বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
গতাকল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিলে আজ মঙ্গলবার তিনি নিজ মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র ই-মেইলে পাঠান। এরপর দলীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি উঠে আসে।