দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে সফরকারী পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টাইগারদের জন্য প্রথম দিনের সকালটা শুরু হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। তবে দিনের বাকি অংশ দারুণভাবে রাঙিয়েছে স্বাগতিকরা।
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৫৩ রান।
সাগরিকায় টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। তবে তার সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণেই যেন মাঠে নামেন টাইগার ব্যাটাররা। উদ্বোধনী জুটি টেকে মাত্র ২৭ বল। ব্যক্তিগত ১৪ রানে ফেরেন সাইফ হাসান।
অপর ওপেনার সাদমান ইসলামও ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি। এই ধারা বজায় রাখতেই যেন ১৪ করে সাজঘরে ফেরেন তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। অবশ্য তার আগেই আউট হওয়া অধিনায়ক মুমিনুল হক করেন ৬ রান।
মাত্র ৪৯ রানে ৪ উইকেটে হারিয়ে অল্পেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। দুজনের ব্যাটে ভর করে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় টাইগাররা।
চার উইকেটে ৬৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশন শুরু করে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই দেখে শুনে খেলতে থাকেন লিটন ও মুশফিক। নোমান আলির বলে চার হাঁকিয়ে ৯৫ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন লিটন দাস। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে এটি ছিল তার দশম ফিফটি।
এর কিছু পড়ে ১০৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় সেশনে অবিচ্ছেদ্য থেকে দুজনে যোগ করেন ১০২ রান। একইসঙ্গে ইঙ্গিত দেন পাল্টা আক্রমণের।
চা বিরতির আগে যেখানে থেমেছিলেন, সেখান থেকেই তৃতীয় সেশন শুরু করেন লিটন ও মুশফিক। দারুণ খেলতে থাকা লিটন এরই মধ্যে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পান। নোমান আলির বলে সিঙ্গেল নিয়ে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
দিন শেষে ১১৩ রানে অপরাজিত আছেন লিটন। অন্যপ্রান্তে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া মুশফিকুর রহিমও সেঞ্চুরির পথ রয়েছেন। মিস্টার ডিপেন্ডেবল অপরাজিত আছেন ৮২ রানে।
পাকিস্তানের হয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদি, হাসান আলী, ফাহিম আশরাফ ও সাজিদ খান প্রত্যেকেই একটি করে উইকেট শিকার করেন।