ড্র করলেই ফাইনালে এমন সমীকরণ নিয়েই মাঠে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু শেষমেশ হারতে হলো। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধারে হেরে চার জাতির টুর্নামেন্টে রাউন্ড-রবিন লিগ থেকেই বিদায় নিল জামাল ভূঁইয়ার দল।
মঙ্গলবার রেসকোর্স স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের পক্ষে দুটি গোলই দেন আহমেদ ওয়াসিম রাজিক। বাংলাদেশের হয়ে গোলটি করেন জুয়েল রানা। প্রথমার্ধে একটি পেনাল্টি মিস করেন তপু বর্মণ।
কর্দমাক্ত মাঠে বল গড়ানো দুই মিনিটে রহমত মিয়ার লম্বা থ্রোতে বলে মাথা ছুঁইয়ে দেন তপু বর্মণ। গোলরক্ষক সুজন পেরারার হাতে চলে যায় বল। তার পর থেকে আক্রমণাত্ম ছিল লঙ্কানরা। একের পর এক আক্রমণ শানায় স্বাগতিকরা।
২২ মিনিটে বল নিয়ে একাই বাংলাদেশের বক্সে হাজির হন আহমেদ ওয়াসিম রাজিক। আনিসুর রহমান জিকোর মাথার উপড় দিয়ে চলে যায় বল। তিন মিনিটের মাথায় লঙ্কানদের করা শট ফিরিয়ে দেন জিকো। তবে গোল করতে ভুল করেননি জার্মানিতে জন্ম নেয়া এই ফরোয়ার্ড।
৩১ মিনিটে তপুর হেডে গোল প্রায় হয়ে যাচ্ছিল। গোললাইনে দাঁড়ানো লঙ্কান ডিফেন্ডার তবে ডাকসন পালসাস হাত দিয়ে তা ঠেকিয়ে দেন। লাল কার্ড দেখতে হয় তাকে। পেনাল্টি নিতে এসে পোস্টের উপড়ে উড়িয়ে মারেন বাংলাদেশ দলের ডিফেন্ডার তপু। পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মারিও লামোসের শিষ্যরা।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই গোল তুলতে মরিয়া হয়ে উঠে বাংলাদেশ। দশজন নিয়ে সুবিধা করতে পারছিল না শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচেও ফিনিশিং ব্যর্থতা দেখা যায় লাল-সবুজদের। লঙ্কান গোলরক্ষক সুজন একের পর এক সেভ দিয়ে নজর কাড়েন।
৭০ মিনিটের মাথায় সফল হয় বাংলাদেশ। বদলি হিসেবে খেলতে নেমে গোল আদায় করেন জুয়েল রানা। ইয়াসিন আরাফাতের ক্রসে গোলরক্ষককে বোকা বানাতে সক্ষম হন জুয়েল।
তবে ম্যাচের শেষভাগে এসে গোল হজম করতে হয় জামালদের। ওয়াসিম রাজিক বাইসাইকেল কিক নিতে গেলে তপুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে যান। এতে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। গোল করতেও ভুল করেননি রাজিক। ফলে চলতি টুর্নামেন্টে মোট ছয় গোলের মালিক হলেন জার্মান প্রবাসী এই ফুটবলার।
অন্যদিকে বিদেশের মাটিতে শিরোপা জেতার বড় স্বপ্নভঙ্গ হলো বাংলাদেশের। আগামী ১৯ নভেম্বর শিরোপার লড়াইয়ে লঙ্কাসদের প্রতিপক্ষ আফ্রিকার দেশ সেশেলস।