আওয়ামী লীগের রাজনীতি জনগণ দ্বারা চালিত এবং জনমতের প্রতিফলন বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি জনগণ দ্বারা চালিত এবং জনমতের প্রতিফলন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের মাধ্যমে এসডিজি অগ্রগতির জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতিসংঘে পুরস্কারপ্রাপ্তি এবং সারা দুনিয়ায় উন্নয়নের সুনাম অর্জন করেছে।
তিনি আরো বলেন, দেশ পরিচালনায় নতজানু হওয়ার নজির আওয়ামী লীগের নেই। নতজানু হওয়ার নজির বিএনপির রয়েছে। কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে নালিশ আর প্রকাশ্যে বিভিন্ন দূতাবাসের কাছে সাহায্য চাওয়া বিএনপির মেরুদণ্ডহীন রাজনীতির সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ। বিএনপির কাছে দেশ নিরাপদ নয়, তাদের রাজনীতি দূরনিয়ন্ত্রিত।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা না জানলেও দেশের মানুষ জানে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক পদ্মাসেতু নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছে সরকার। আসলে তারা পদ্মাসেতু নির্মাণ বন্ধের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা চায়নি এ দেশে মেগা প্রকল্প হোক।
তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি উন্নয়ন-বিমুখ এবং প্রতিহিংসামূলক, তারা উন্নয়ন চায় না, তারা চায় দেশ স্থবির হয়ে থাকুক। বিএনপি চায় সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ুক।
৭ নভেম্বর প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বরের হত্যাযজ্ঞের ওপর ভর করে নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেন। সৈনিকদের ব্যবহার করে বীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের রক্তের ওপর দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ধারায় প্রত্যাবর্তনের ভিত্তি রচনা করেন জিয়াউর রহমান। একই সঙ্গে এ রাতের দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে জড়িতদের পদায়ন করেন বিভিন্ন স্থানে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীদের নিষ্ঠুরভাবে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার প্রক্রিয়াও রুদ্ধ করে দেন জিয়া। এজন্যই ৭ নভেম্বরকে রাজনৈতিক রং দিয়ে জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় জিয়াউর রহমানের নির্দেশে।
তিনি আরো বলেন, পরে বিএনপি-জামায়াত জোট নিয়মিত এ দিনটিকে উদযাপন করে আসছে। অথচ এটি বাঙালি জাতির ইতিহাসের একটি কলঙ্কজনক দিন, শোকের দিন, কান্নার দিন।