সিলেট-৩ আসনের (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) উপ-নির্বাচনে বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব।
সিলেট ৩ আসনে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
কারাগারমুক্ত বরিশাল আওয়ামী লীগের ১২ নেতাকর্মী
বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী সবগুলো কেন্দ্র মিলিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব (নৌকা) পেয়েছেন ৯০ হাজার ৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল) পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭৫২ ভোট।
প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আতিকুর রহমান আতিক থেকে ৬৫ হাজার ৩১২ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে নৌকার হাবিবুর রহমান হাবিব।
এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পূর্ণাঙ্গ ঘোষণার আগেই এমন ফলাফলের পর বিজয়ী নৌকার প্রার্থী হাবিবকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক। এ সময় তিনি বিজয়ী প্রার্থীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অপরদিকে রাত সোয়া ৮টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা চলছে।
এর আগে সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে ১৪৯টি কেন্দ্রে শনিবার সকাল ৮টায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সিলেটের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী এমদাদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ উপ-নির্বাচনে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শনিবার দুপুরে কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে একথা জানান তিনি।
এদিকে শনিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ভোটারদের উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও সেটা আশানুরূপ হয়নি।
যদিও ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ হিসেবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক তার কর্মী-সমর্থকদের আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব।
সিলেট-৩ আসনে প্রথমবারের মতো ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। মোট প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ভোটারের মধ্যে বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী ১ লাখ ১৪ হাজার ৮১৬ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
নির্বাচনে বাকি দুই প্রার্থী ছিলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি দলীয় সাবেক সাংসদ শফি আহমদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের তাদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা জানা যায়নি।