২০২০-২১ অর্থবছরে পর্যাপ্ত বাজেট না থাকায় এবার নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও)-ভুক্ত হচ্ছে না। আগামী অর্থ বছরের বাজেটে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দ পেতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দেন-দরবার করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
নীতিমালা জারির পরপরই এমপিওভুক্তির জন্য নতুন করে আবেদন নেওয়ার বলে একাধিকবার বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেজন্য অর্থ বরাদ্দ রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো-২০২১ জারি করা হয়েছে ।
বুধবার (৩১ মার্চ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয় জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘নীতিমালা জারি হলেও চলতি অর্থ বছরে নতুন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ নতুন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করতে হলে অর্থের প্রয়োজন সেই অর্থ নেই। তবে, এমপিওভুক্তির জন্য আগামী অর্থ বছরের বাজেটে বরাদ্দ চেয়ে দেন দরবার করছি। যদি অর্থ মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দেয়, তবে নতুন করে এমপিওভুক্তি করা হবে।’
নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, এমপিও পেতে হলে প্রতিষ্ঠানের নামে জমির হালনাগাদ খাজনাসহ নাম জারি থাকতে হবে। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের নামে ও ফৌজদারি অপরাধে দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নামের প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে না। শিক্ষকদের এমপিও নিষ্পত্তি নিয়ে অযথা হয়রানি করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা নীতিমালায় বলা হয়েছে।
নীতিমালায় এমপিওভুক্তির আবেদনের বিষয়ে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হবে। নিজস্ব জমি ছাড়া কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা হবে না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে খতিয়ানভুক্ত ও নামজারি করা নিজস্ব জমিতে অবকাঠামো এবং হালনাগাদ অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি বা অধিভুক্তি থাকলে এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবে।
কবে থেকে আবেদন শুরু হবে, জানতে চাইলে নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) মোমিনুর রশিদ আমিন বলেন, ‘এমপিওভুক্তির জন্য প্রতিষ্ঠানের জমি, অবকাঠামোসহ বেশ কিছ নতুন শর্ত নীতিমালায় যুক্ত করা হয়েছে। যে কারণে আগের সফটওয়্যারে আবেদন নেওয়া সম্ভব হবে না। আবেদন নিতে হলে নতুন সফটওয়্যার তৈরি করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্বান্তের পর এ কার্যক্রম শুরু হবে।’