ফেসবুকে নেতিবাচক মন্তব্য করায় ১০ শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নোটিশে শিক্ষকদের স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশে বলা হয়েছে, ‘সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতির লক্ষ্যে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হলে তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু নেতিবাচক পোস্ট/সংবাদ শেয়ার করা হয়, যা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক পোস্ট/ভোরের কাগজে প্রকাশিত সংবাদ শেয়ার করার কারণে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে পরিচালকের (মাধ্যমিক) কক্ষে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হলো।’
যে ১০ জন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন—খুলনার কেডিএ খানজাহান আলী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) ওমর ফারুক, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার খায়রুল্লাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, বরিশালের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) মো. আকতারুজ্জামান, বরগুনা জেলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) হারুন অর রশিদ, সিরাজগঞ্জের বিএল গভ. হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক (গণিত) মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে সম্রাট সাইফুল, চাঁদপুর গভর্নমেন্ট টেকনিক্যাল হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) মোহাম্মদ তৈয়ব আলী, পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সরকারি কে জি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত) আমিনুর রহমান, হবিগঞ্জের চুনারঘাট উপজেলার রাজার বাজার সরকারি হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. আবু ইসহাক চৌধুরী, ঢাকার শেখ জামাল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত) ইলিয়াছ আহম্মেদ এবং নীলফামারী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রেজওয়ানুল কবির।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গণমাধ্যমের একটি রিপোর্ট নিয়ে একজন শিক্ষক অপর শিক্ষকের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ায় অধিদপ্তর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।