চাইলেই আর বয়স কমানো যাবে না প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের। কারণ এখন থেকে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তিতে জন্মনিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলকভাবে জমা দিতে হবে।
ওই সনদ অনুযায়ী পাবলিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এতে প্রাথমিকে শিক্ষার্থীর বয়স ইচ্ছেমতো কমানোর সুযোগ বন্ধ হচ্ছে।
জানা গেছে, ভর্তির ক্ষেত্রে জন্ম-সনদ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতে গত ১২ জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালককে নির্দেশনা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছিল, নীতি বহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থীদের বয়স কমানোর প্রবণতা দূর করতে গত ১০ ডিসেম্বর একটি সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্তে জানানো হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ গ্রহণ, সংরক্ষণ ও পাবলিক পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশনের সময় ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। নীতিবহির্ভূতভাবে বয়স কমানোর প্রবণতারোধে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে মাঠ পর্যায়ে।
এ সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে গত ১২ জানুয়ারি অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তার আলোকে গত সোমবার শিক্ষার্থীদের জন্ম সনদ সংগ্রহ ও সংরক্ষণে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রতন চন্দ্র পণ্ডিত জানান, বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া। তারা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প (তৃতীয় পর্যায়) থেকে নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের জন্ম-সনদ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যেসব এলাকায় এ কার্যক্রমে সমস্যা হবে, সেখানকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করবেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার।