করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় জালিয়াতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত রিজেন্ট হাসপাতালের আট কর্মকর্তাকে আবারও দুই দিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
১৬ আগস্ট রবিবার দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হাসপাতালের অ্যাডমিন আহসান হাবীব (৪৫), এক্স-রে টেকনিশিয়ান আহসান হাবীব হাসান (৪৯), মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট হাকিম আলী (২৫), রিজেন্ট গ্রুপের প্রজেক্ট অ্যাডমিন রাকিবুল ইসলাম (৩৯), রিজেন্ট গ্রুপের এইচআর অ্যাডমিন অমিত বনিক (৩৩), গাড়ি চালক আব্দুস সালাম (২৫) এক্সিকিউটিভ অফিসার আব্দুর রশীদ খান জুয়েল (২৮) ও মিজানুর রহমান (৩৯)।
আগের রিমান্ড শেষ হওয়ার পর এদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার নজরুল হক আসামিদের আদালতে হাজির করেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি মিজানুর রহমানকে ৭ দিনের এবং অন্য সবার ৫ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৭ জুলাই রাতে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। করোনা টেস্ট না করে রোগীদের জাল রিপোর্ট দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. সাহেদ (৪৩), ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজ (৪০), রিসিপশনিস্ট কামরুল ইসলাম (৩৫), হাসপাতাল কর্মচারী তরিকুল ইসলাম (৩৩), স্টাফ আব্দুর রশিদ খান (২৯), স্টাফ শিমুল পারভেজ (২৫), কর্মচারী দীপায়ন বসু (৩২), মাহবুব (৩৮)-সহ আরও দু’জন।