করোনা ভাইরাসের সংকটময়কালে মাস্ক-পিপিইসহ নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি হয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদ।
পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিজেকে নিষ্ঠাবান, দক্ষ ও সফল দাবি করেছেন আলোচিত-সমালোচিত সদ্য সাবেক এই সাবেক মহাপরিচালক।
১২ আগস্ট বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের কর্মকর্তারা। দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে অনুসন্ধানকারী দলের সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সিএমএসডি কর্তৃক কোভিড সংশ্লিষ্ট ক্রয় বিষয়ে অভিযোগ ওঠায় দুদক তদন্ত করছে। সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে আমি কী জানি তা শোনার জন্য দুদকের কর্মকর্তারা আমাকে অনুরোধ করেছিলেন। আমি যা জানি তা বিস্তারিত বলেছি।’
নিজেকে নিষ্ঠাবান, দক্ষ ও সফল দাবি করে বলেন, ‘আমি একজন কঠোর পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবাদ, সৎ, দক্ষ, সফল ও মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে সারা জীবন কাজ করেছি।’
অপরাধীর শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, ‘কেউ অপরাধ করলে কঠোর শাস্তি হোক তা আমি চাই। এ বিষয়ে তদন্তে আমি সব ধরনের সহযোগিতা করবো।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) থাকাকালীন ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট আবুল কালাম আজাদকে ডিজি নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছিল। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতরের শীর্ষ এই পদে যোগদান করেন তিনি। গেল বছরের ১৪ এপ্রিল তার চাকুরির মেয়াদ শেষ হলে তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান।
চাকরির নির্ধারিত মেয়াদ শেষে দুই বছরের চুক্তিতে থাকা আবুল কালাম আজাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আগামী বছরের ১৪ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা ছিল।
তবে গেল মার্চে দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে চিকিৎসা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন সময় বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার জন্ম দেন ডা. আজাদ। এন৯৫ মাস্কের মোড়কে বিভিন্ন হাসপাতালে সাধারণ মাস্ক সরবরাহ কেলেঙ্কারির ঘটনায়ও তিনি সমালোচনার মুখে পড়েন।