খুলনা জেলা পরিষদ ভবন থেকে জমির দলিল, কম্পিউটারের সিডিসহ গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ বলছে—দুর্বৃত্তরা অফিসে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে নিয়ে গেছে। তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৯ বস্তা ফাইলপত্র অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট দুপুরের পর খুলনা জেলা পরিষদ ভবনে কয়েক দফা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। একতলা ও দোতলার প্রতিটি রুমে ভাঙচুর করা হয়। আলমারি, চেয়ার, টেবিলসহ আসবাবপত্র ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে ভবনের নিচ তলায় একটি ভাঙা টেবিল ও চেয়ারে বসে কাজ করছেন প্রধান নির্বাহী রেজা রশিদ। সূত্রমতে, হামলা-ভাঙচুরের পরের দিন ৬ আগস্ট খুব ভোরে অফিসে আসেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস কে মাহবুবুর রহমান। তিনি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদেরও খুবই ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান অফিসে এসে গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্রগুলো বস্তায় ভরার নির্দেশ দেন। এই কাজে সহযোগিতা করেন গার্ড আলমগীর ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নয়ন। তারা মোট ৯টি বস্তায় ফাইল ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ভরেন। এরপর একটি মিনি ট্রাকে করে বস্তাগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে প্রচার করা হয় যে, সন্ত্রাসীরা সব লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এছাড়া তারা ফাইলপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস কে মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা রশিদ বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য আমার জানা নেই। ভবনের নিচতলা আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দোতলার প্রতিটি কক্ষ ভেঙে তছনছ করা হয়েছে। এই সন্ত্রাসী ঘটনায় খুলনা থানায় জিডি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কাগজপত্র না পেলেও খুব একটা ক্ষতি হবে না। তবে জেলা পরিষদের পুরোনো দলিল ও কম্পিউটারের সিডি না পাওয়ায় অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। এছাড়া ব্যাংক চেক বইও নেই। পুরা ভবনের সিসি ক্যামেরাও খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । আমরা আজকালের মধ্যে পুরো ঘটনা জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেব।