নোয়াখালী সোনাইমুড়ীতে জন্মনিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা ও সাধারন জনগন। নিবন্ধনে নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম তারিখের গড়মিলসহ নানান জটিলতায় পড়েছে জনগণ। সোনাইমুড়ীর ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ ও একটি পৌরসভায় জন্ম ও মৃত্যু সনদ হাতে পাওয়া এ যেন সোনার হরিণ হয়ে দাড়িয়েছে। জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করার পর জন্মসনদ রেজিঃশনের জন্য দিনের পর দিন ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে সেবা গ্রহিতাদের। ইউনিয়ন পরিষদ কিংম্বা পৌরসভায় ছেলে মেয়ে নিবন্ধন করতে অভিভাবকদের কমপক্ষে চার পাঁচবার নিবন্ধন কার্যালয়ে যেতে আসতে হয়। সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করে দিতে হয়। সংঙ্গে গুনতে হচ্ছে ৩০০-১০০০ টাকা। তথ্য বলেছে সরকারী প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ৪৫ দিনের মধ্যে টাকা ছাড়াই নিবন্ধন করা যায়। ৪৫ দিনের পর ৫ বছর পর্যন্ত ২৫ টাকা ৫ বছর পড়ে ৫০ টাকা ফি দিয়ে নিবন্ধন করার কথা। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় জন্মনিবন্ধের কার্যালয়ে সরকার নিবন্ধিত ফি ছাড়াও বারতি টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। প্রসাশনিক সব কর্মকান্ড ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার হওয়ায় জন্ম নিবন্ধন অপরিহার্য। পাসর্পোট, আইডি কার্ড জমি জমা রেজিষ্ট্রেশন, করোনা টিকা এবং স্কুলে ভর্তিসহ ১৭টি সেবার ক্ষেত্রে জন্ম সনদ বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। ফলে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর মানুষ স্থানীয় প্রশাসনে জন্ম নিবন্ধন করেন। কিন্তু ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিবন্ধন করায় সার্ভার ত্রুটির অজুহাতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। বারগাও ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জন্ম নিবন্ধনের অতিরিক্ত টাকা আদায় করার কারনে স্থানীয় জনগনসহ এলাবাসী কয়েকজন এসে সচিবের কার্যালয়ের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন। কাশিপুর বাজারের বিভিন্ন কম্পিউটারের মালিকেরা জন্মনিবন্ধনের চুক্তি করে থাকেন। পড়ে গোপনে বয়স সংশোধনী ঘুষের বিনিময়ে প্রায় সচিবকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান কিছু কিছু ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধনের হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায় নি।